দেশীয় চলচ্চিত্রে বরেণ্য অভিনেত্রী আনোয়ারা। অভিনয়জীবনের শুরুতে সহশিল্পী, নায়িকা এরপর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে বাংলা মায়ের চিরন্তন ইমেজ গড়ে তুলেছেন তিনি। আশি, নব্বই দশকের চলচ্চিত্রে তাকে মায়ের ভূমিকাতেই দর্শক বেশি দেখেছেন।
আজ বিশ্ব মা দিবস৷ বিশেষ এই দিনে রুপালি পর্দার এই মায়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল,চলচ্চিত্রে তার নিজের মায়ের অবদান প্রসঙ্গে। সেই সময়ের রক্ষণশীল সমাজের পর্দাপ্রথা ভেঙে তিনি কি চেয়েছিলেন মেয়ে সিনেমায় অভিনয় করুক? আনোয়ারা বলেন, 'চলচ্চিত্রে অভিনয় করি মা এটা চাননি। আর পাঁচজন মায়ের মতো তিনি যখন বিষয়টি শুনলেন রাজি হননি। বর্তমান সময়ের নায়িকাদের নায়িকা হয়ে ওঠার পেছনে মায়েদের সহযোগিতা বা ভূমিকা থাকে। আমার সে ভাগ্য হয়নি। তার অমতেই চলচ্চিত্রে আসি। তবে, একটা সময় মা চাইতেন আমি অভিনয় করি। আমার চলচ্চিত্রে আসার ব্যাপারে তার অমত থাকা সত্বেও আমি বলবো, আমার সফল্যে তার ভূমিকা রয়েছে। কয়েক বছর আগে মা মারা যান। এখন আমারও বয়স হয়েছে। মা হারানোর যে কি বেদনা, যে হারিয়েছে সেই বুঝবে।'
পর্দার মা আর বাস্তবের মায়ের চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, 'খুব বেশি পার্থক্য নেই। যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই তখন মনে করি, আমিই ওদের সত্যিকারের মা। নিজের সন্তান মনে করেই শট দেই। ওদের কষ্টে কাঁদি, ওদের আনন্দে হাসি। পার্থক্য হলো বাস্তব জীবনে দীর্ঘ সময় অনেক দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে হয়। পর্দায় স্বল্প সময়ের জন্য।'
আনোয়ারা বলেন, 'চলচ্চিত্র ক্যরিয়ারে অনেক জুনিয়র শিল্পীরা বড় গলায় মা ডেকেছেন। শুটিং সেটে বা সেটের বাইরে তাদের সঙ্গে ভালো লাগার, হৃদয়ে দাগ কাটার অনেক স্মৃতি রয়েছে। স্বল্প সময়ে তা বলা সম্ভব নয়।'
ঢাকা/তারা