বিনোদন

‘পাঁচ-ছয় দিন ভীষণ ভয়ে ছিলাম’

প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবী ও নির্মাতা বনি কাপুরের বড় মেয়ে জানভি কাপুর। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন শুরুর পর থেকে বাবা ও বোন খুশি কাপুরকে নিয়ে বাড়িতেই আছেন তিনি। বাড়ির সকল দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

এদিকে কয়েকদিন আগে জানভিদের বাড়িতে তিনজন গৃহকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়। যদিও তারা সবাই এখন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে সেই সময়ে ভীষণ ভয় পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন শ্রীদেবী কন্যা।

এক সাক্ষাৎকারে জানভি কাপুর বলেন, ‘আমরা লকডাউন উপভোগ করছিলাম কারণ সবাই একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু যখন আমাদের বাড়িতে করোনা ধরা পড়ে ওই পাঁচ-ছয় দিন ভীষণ ভয়ে ছিলাম। এটি খুবই অদ্ভুত ব্যাপার ছিল কারণ কেউ-ই কমপ্রাউন্ডের বাহিরে যায়নি। তাই বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে হলো।’

বাবার বিষয়ে সবসময়ই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন জানভি। ‘ধড়ক’ সিনেমাখ্যাত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘বাবার সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। এখনো যদি রাতে তার গরম পানির দরকার হয়, আমি গ্লাভস ও মাস্ক পরে রান্নাঘরে ছুটে গিয়ে তা নিয়ে আসি। তিনি দিনে ৩-৪ বার গরম পানির ভাপ নেন। তার যে এটি প্রয়োজন তা নয়, কিন্তু বাড়তি সতর্কতার জন্য এটি করতে হয়। ভাপ নেওয়া ও গরম পানি খাওয়ার বিষয়টি সবার জন্য একটি বার্তা। এই দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। সবসময় বাবা ও খুশির খোঁজ রাখি। মনে হয়, সবকিছু আমার তত্ত্বাবধায়নে রাখি এবং এতে স্বস্তিবোধ করি। যদিও এতে কিছু চাপ কাজ করে। তারপরও আমার মনে হয়, সবার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি।’

এই অভিনেত্রী জানান, সংসারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাবা বনি কাপুর তাকে ‘বাড়ির হেডমাস্টার’ বলে ডাকেন। জানভি বলেন, “বাবা বিষয়টি উপভোগ করছে। তার বন্ধুদেরও বিষয়টি জানিয়েছে। প্রতিবার যখনই তার ঘরে যাই, তিনি যদি ফোনে ব্যস্ত থাকেন তাহলে বলেন, ‘রাখো, পরে কথা বলব, হেডমাস্টার এসে গেছে।”

বর্তমানে জানভির ঝুলিতে একাধিক সিনেমার কাজ রয়েছে। এগুলো হলো— ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’, ‘রুহি আফজানা’ এবং ‘দোস্তানা-টু’।

 

ঢাকা/মারুফ