‘মায়ের এক ধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম, পাপোশ বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না, এমন দরদি ভবে কেউ হবেনা আমার মা গো’—গানের কথার মতো সত্যি এমন দরদি ভবে কেউ নেই!
চির বিদায় নিয়ে মা যখন পৃথিবী ছাড়েন তখন সন্তানের হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। মা হারানো সন্তানই বুঝে এই বেদনা। মায়ের লাশের পাশে বসে সন্তানের কান্না করার কথা। কিন্তু অর্থাভাবে সন্তান ভাবছে কীভাবে মায়ের দাফন হবে? কীভাবে নেওয়া হবে কবরস্থানে? এমন ঘটনা কোনো সিনেমা বা নাটকের নয়। চলচ্চিত্রের ফাইট শিল্পী ইউসুফের জীবনে এমনটা ঘটেছে।
চলচ্চিত্রের সিনিয়র ফাইট শিল্পী ইউসুফ। দীর্ঘদিন ধরেই চলচ্চিত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনার এই দুর্যোগে হাতে কাজ না থাকায় ঘরেই সময় কাটছে। এই সংকটে একদিকে হাতে টাকা নেই, অন্যদিকে ৮০ বছর বয়সি ইউসুফের মা আজ (১৪ জুন) সকালে মৃত্যুবরণ করেন। এ খবর পেয়ে ছুটে যান শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এবং আজিমপুর কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করে দেন বলে রাইজিংবিডিকে জানান ইউসুফ।
ইউসুফ বলেন, ‘আমার মা সুস্থই ছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। কাজ-কর্ম না থাকায় আমার হাতে টাকা-পয়সা নেই। ঠিক এই সময়ে জায়েদ খান এসে আমার মায়ের দাফনের ব্যবস্থা করেন। এটা আমার জন্য অনেক পাওয়া। এই সময় শিল্পী সমিতিকে কাছে পেয়েছি। বিদায় বেলায় মায়ের লাশের পাশে দাঁড়িয়েছেন জায়েদ খান।’
ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত