বিনোদন

‘কেউ কেউ বলছেন, এফডিসির মানুষ খারাপ-নোংরা’

অনুদানপ্রাপ্ত অধিকাংশ সিনেমা আলোর মুখ দেখছে না। এমনো সিনেমা রয়েছে, যা অনুদানপ্রাপ্তির ২০ বছর পার হলেও মুক্তি পায়নি। এসব সিনেমার অধিকাংশ নির্মাতাই মূল ধারার বাণিজ্যিক সিনেমার সঙ্গে জড়িত নয়।

এসব সিনেমা মুক্তি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। মামলাও করেছেন বেশ কয়েকজনের নামে। নির্ধারিত সময়ে সিনেমা মুক্তি না দেওয়ায় গত ২৫ অক্টোবর কবি ও নির্মাতা টোকন ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যায়।

অনুদানের সিনেমা মুক্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনুদান কমিটির সদস্য পরিচালক মতিন রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, দেখুন কেউ কেউ বলছেন, এফডিসির মানুষ খারাপ, নোংরা। এমন অনেক কথা বলে যাচ্ছেন। তারপরও তারা দায়িত্ব নিয়ে সিনেমা বানান। ধরুণ, প্রযোজক তাদেরকে ছয় মাসের জন্য টাকা দেন। পরিচালক সেভাবেই সিনেমাটি নির্মাণ করে হলে মুক্তি দিচ্ছেন। কোন শিল্পী নিবেন, কোনদিন কোথায় শুটিং করবেন, কতদিন শুটিং করবেন। তার পরিপূর্ণ তালিকা দিয়ে প্রযোজকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেন। কোনদিন মুক্তি দেবে তারও একটি টার্গেট থাকে। তাহলে কি দাঁড়ায়? এফডিসির প্রত্যেকটি নির্মাতা সময়মতো সিনেমা মুক্তি দিচ্ছেন। অনুদান যারা পাচ্ছেন তাদেরও উচিত সঠিক সময় সিনেমা মুক্তি দেওয়া।

কথিত আছে এফডিসির নির্মাতারা অনুদান পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য জানতে চাই? জবাবে তিনি বলেন, এটা বললে ভুল হবে। যে চিত্রনাট্যগুলো জমা পড়ে সেগুলো বহু লোকে দেখেন, একজনে নয়। এই চিত্রনাট্যগুলো দেখে অনুদান দেওয়া হয়। বাইরের কেউ ভালো চিত্রনাট্য জমা দিলে সে পেয়ে যায়। ২০১৯ সালে মূল ধারার অনেকেই অনুদান পেয়েছেন। এজন্য এই অভিযোগ সঠিক না। চিত্রনাট্য পছন্দ না হলে বাদ দেওয়া হয়।

চলচ্চিত্রশিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহ দিতে ১৯৭৬ সাল থেকে সরকারি অনুদান প্রথা চালু হয়। এরপর থেকে নিয়মিত চলচ্চিত্রে অনুদান দিয়ে যাচ্ছে সরকার।