বিনোদন

শঙ্কামুক্ত নন আজিজুল হাকিম, অপেক্ষা করতে হবে ৪৮ ঘণ্টা

নগরীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন অভিনেতা আজিজুল হাকিম। তবে এখনো তিনি শঙ্কামুক্ত নন। 

হাসপাতালের সিনিয়র মেডিক‌্যাল অফিসার (সার্জারি) ডা. ওয়াজেদ জামিল রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সম্পর্কে তিনি জিনাত হাকিমের ভাগ্নে। ওয়াজেদ জামিল রাইজিংবিডিকে বলেন—আজ (১৫ নভেম্বর) সকালে এইচআরসিটি পরীক্ষা করিয়েছি। এইচআরসিটি-এর ফিল্ম অনুযায়ী তিনি আশঙ্কামুক্ত নন। আশা করছি, আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর আমরা পরবর্তী আপডেট জানাতে পারব।

আজিজুল হাকিম এখনো আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। এ বিষয়ে ডা. ওয়াজেদ জামিল বলেন, একটি সুখবর রয়েছে। তা হলো—প্রথমদিন ভেন্টিলেশনে যে অবস্থায় ছিলেন, তার তুলনায় এখন তিনি অনেকটা ভালো। প্রথমদিনে প্রায় ৯০ শতাংশ অক্সিজেন তাকে কৃত্রিমভাবে দিতে হয়েছে। আর এখন ৪০ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করতে হচ্ছে।

রোববার (১৫ নভেম্বর) সকালে আজিজুল হাকিমের মেয়ে নাযাহ হাকিম ও ডা. ওয়াজেদ জামিল আইসিইউতে গিয়েছিলেন। কিছু সময় তারা আজিজুল হাকিমের সঙ্গে অতিবাহিত করেন বলেও জানান ডা. ওয়াজেদ জামিল।

সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আজিজুল হাকিম। কিন্তু এ অভিনেতার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত ১২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ১৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়। বেশি মাত্রায় এ অভিনেতার ফুসফুস সংক্রমিত হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানে ডা. মহিউদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আজিজুল হাকিমের স্ত্রী নাট্যকার জিনাত হাকিম ও তাদের পুত্র মুহাইমিন রেদোয়ান হাকিম বাসা থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে বাংলাদেশ স্পেশালিস্ট হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করান তারা। গত ১০ নভেম্বর তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

ছাত্রজীবনে আরিয়ানাক থিয়েটারে যুক্ত হন আজিজুল হাকিম। ১৯৭৭ সালে আরণ্যক নাট্যদলে যোগ দেন। তারপর অনেক দর্শকপ্রিয় মঞ্চ-টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি। ১৯৯৩ সালে নাট্যকার জিনাত হাকিমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাদের সংসার আলো করে আসে কন্যা নাযাহ হাকিম ও পুত্র মুহাইমিন রেদোয়ান হাকিম।