বিনোদন

স্বপ্ন দেখি অভিনেতা হওয়ার: জুনায়েদ

নগরীর মিরপুরে জন্ম আরফিন জুনায়েদের। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। শৈশবে বাবা-মায়ের সঙ্গে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে সৌদিতে। ২০১০ সালে দেশে ফিরে আসেন জুনায়েদ। ছোটবেলায় ক্রিকেটের প্রতি দারুণ আগ্রহ জন্মায় তার। নেশার মতো ঝেঁকে বসে ক্রিকেট। স্বপ্ন দেখতে থাকেন ক্রিকেটার হওয়ার।

গোপালগঞ্জের ছেলে হওয়ায় মাশারিফ বিন মতুর্জার সান্নিধ্য পেয়েছেন জুনায়েদ। তার ক্রিকেটপ্রীতি দেখে মাশরাফি তাকে উৎসাহ দিতেন। মাশারাফিকে কৌশিক ভাই বলে ডাকেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ ইনজুরিতে পড়ার কারণে ক্রিকেট নিয়ে সব স্বপ্ন ভেঙে যায় তার। তারপর থেকে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন অভিনয়কে ঘিরে।

জুনায়েদ রাইজিংবিডিকে বলেন—মাশরাফি ভাইকে আমরা কৌশিক ভাই বলে ডাকি। কৌশিক ভাই আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছেন। উৎসাহ দিয়েছেন। কিন্তু ইনজুরির কারণে খেলা ছেড়ে দিতে হয়। আমার কপালে আসলে ক্রিকেটটা নেই। তাই হয়তো এই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ছোটবেলা থেকে দেশের জন্য কিছু করব এমন ভাবনা লালন করছি। যখন ক্রিকেট হলো না তখন অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিই।

২০১৫ সাল থেকে মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন উদীয়মান অভিনেতা আরফিন জুনায়েদ। শুরুটা হয়েছিল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দিয়ে। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে নির্মাতাদের নজর কাড়েন। ২০১৬ সালে তপু খান পরিচালিত ‘ইটস মাই লাইফ’ নাটকে অভিনয় করেন। এটি মুক্তি পায় ইউটিউবে। তারপর আর থেমে থাকতে হয়নি তাকে। এরই মধ্যে বেশ কিছু টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন জুনায়েদ। পাশাপাশি মডেলিংয়েও নাম লিখিয়েছেন। কাজ করছেন বেশ কিছু ফ্যাশন ফটোশুটে।

বর্তমানে দুটি ওয়েব সিরিজ, দুটি টেলিভিশন নাটকের কাজ জুনায়েদের হাতে রয়েছে। বিজয় দিবসে তার অভিনীত একটি নাটক মুক্তি পাবে। জুনায়েদের ধ্যান-জ্ঞান অভিনয়কে ঘিরে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে জুনায়েদ বলেন—আমি ভালো একজন অভিনেতা হতে চাই। আপাতত ছোট পর্দার কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। সবার ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।