বিনোদন

‘বিবাহবিচ্ছেদের অভিজ্ঞতা খারাপ ছিল না’

ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ। ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মাকড়ি’ চলচ্চিত্রের জন্য দর্শকদের কাছে বেশি পরিচিত। শ্বেতা ব্যক্তিগত জীবনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন পরিচালক রোহিত মিত্তালের সঙ্গে। দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৮ সালে বিয়ে করেন তারা।

ভালোই চলছিল শ্বেতা-রোহিতের সংসার। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে এই দম্পতির জীবনে। বছর না পেরুতেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাদের। পরস্পর সমঝোতার মাধ্যমেই আলাদা হয়ে যান এই যুগল। বিচ্ছেদের পর কেটে গেছে এক বছরের বেশি সময়। দীর্ঘদিন পর বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে আবারো মুখ খুলেছেন এই অভিনেত্রী।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে শ্বেতা বসু প্রসাদ বলেন—দশ বছর বা আরো বেশি সময় একসঙ্গে সংসার করার পরও অনেক দম্পতিকে আলাদা হয়ে যেতে দেখেছি। ৬-৮ মাস পর আমার আর রোহিতের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সাধারণ বিচ্ছেদের মতো এর অনুভূতি খুব স্বাভাবিক ছিল! ডিভোর্স শব্দটি শুনতে অনেক বড় মনে হয়, তবে আমার বিবাহবিচ্ছেদের অভিজ্ঞতা খারাপ ছিল না। অবশ্যই এটি দুঃখজনক ঘটনা, কারণ বিচ্ছেদের ঘটনায় কেউই আনন্দ পায় না। কিন্তু আমার পাশে চমৎকার একটি পরিবার রয়েছে।    

বিবাহবিচ্ছেদ হলেও প্রাক্তন স্বামীকে নিয়ে কটূ কথা বলেননি শ্বেতা বসু প্রসাদ। বরং রোহিতের প্রশংসা করে এ অভিনেত্রী বলেন—রোহিতের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। আমাদের অনেকগুলো সুন্দর মুহূর্ত আছে। তার কাছ থেকে সব সময় অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এতদিন আমার পাশে থাকার জন্য তাকে ধন্যবাদ। জীবনের সব বই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে, এমন তো নাও হতে পারে! কিছু বই নাহয় অসম্পূর্ণই থাকুক। কিন্তু সেই বইটা ভালো ছিল না, এমনটা ভাবা ঠিক হবে না।

ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় আসলেও কাজের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই শ্বেতা। গত বছরও তার অভিনীত তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, ‘হোস্টেজেস’ ও ‘হাই’ নামে তার অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজও মুক্তি পায়। বর্তমানে ‘জমুন’ ও ‘ইন্ডিয়া লকডাউন’ নামে দুটি সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ৩০ বছর বয়েসি শ্বেতা।