বিনোদন

শহীদ মুক্তিযোদ্ধার গল্প বলতে গিয়ে অঝোরে কাঁদলেন ভাতিজি

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম স্বাধীন করতে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট মহি আলম চৌধুরী। তিনি ছিলেন আলম গ্রুপের লিডার। তার অসীম সাহস ও বীরত্ব এনে দিয়েছিল অনেক সফল অপারেশন।

১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর, বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর বোর্ড রাজাকার ক্যাম্পে অপারেশনের সময় রহস্যজনকভাবে তার শহীদ হওয়ার গল্প অনেকেরই অজানা। সেই অজানা গল্প জানার জন‌্য অনুসন্ধানে নামেন তার ভাতিজি মারজান বেগম। সত‌্যটা খুঁজে বের করতে মারজানকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।   মহি আলম চৌধুরীর এই বীরত্ব ও তার যোগ্য ভাতিজি মারজান বেগমের অনুসন্ধানের গল্প নিয়ে দীপ্ত টেলিভিশন তৈরি করেছে ডকুড্রামা। ‘দুইটি যুদ্ধের একটি গল্প’ নামের এই প্রামাণ্যচিত্র পরিচালনা করেছেন চ্যানেলটির সিইও ফুয়াদ চৌধুরী। বুধবার (২৪ মার্চ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ডকুড্রামাটি আগামী ২৬ মার্চ, রাত ১১টায় দীপ্ত টেলিভিশনে প্রচার হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মহি আলম চৌধুরীর ভাতিজি মারজান বেগম জানান, পারিবারিক একটি ছবির সূত্র ধরে তিনি নেমে পড়েন নতুন যুদ্ধে। চাচার বীরত্বের গল্প দুনিয়াবাসীকে জানিয়ে তার স্বীকৃতি আদায় করেছেন। তবে দীর্ঘ ৩০ বছরের বেশি সমর পর। ২০১৯ সালে মধ্যবয়সী মারজান খবর পান চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর বোর্ড রাজাকার ক্যাম্পে অপারেশনের সময় রহস্যজনকভাবে তার চাচা শহীদ হয়েছেন। সেদিনের ঘটনা জানতে স্বামী ও এক পুত্রকে নিয়ে সেখানে হাজির হন তিনি। অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাধার মুখে পড়েছেন মারজান। তবু হাল ছাড়েনি তিনি। আর সেই গল্প বলতে গিয়ে অঝোরে কাঁদেন মারজান।

মহি আলম চৌধুরীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তরুণ অভিনেতা রিয়াদ রায়হান। মারজান বেগমের চরিত্রে দেখা যাবে অহনা মিথুনকে। অন‌্যান‌্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন—সাইদুর রহমান পাভেল, মির্জা শাকিব, জয়শ্রী মজুমদার লতা ও চট্টগ্রামের নান্দিমুখ থিয়েটারের একদল নাট্যকর্মী।

এই প্রামাণ্যচিত্রে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, কবি আসাদ চৌধুরী। তারা দুজনই শহীদ মহি আলম চৌধুরীর পরিবারেরই সন্তান। প্রামাণ্যচিত্রটি রচনা করেছেন ফাহমিদুর রহমান। এর লাইন প্রোডিউসার হিসেবে ছিলেন ফাহাদ হোসেন, অ্যাসোসিয়েট প্রোডিউসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রওশন জাহান নূপুর।