বিনোদন

মা-বাবাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করলে গায়ে লাগে: অর্কদীপ

ভারতীয় বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের গানের রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা-২০২০’ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অর্কদীপ মিশ্র। চূড়ান্ত পর্বে লড়াই করেছেন—অর্কদীপ মিশ্র, রক্তিম চৌধুরী, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, জ্যোতি শর্মা, নীহারিকা নাথ ও অনুষ্কা পাত্র।

এতে বিজয়ী হন অর্কদীপ, দ্বিতীয় নীহারিকা এবং তৃতীয় বিদীপ্তা। কিন্তু দর্শকদের ভোটে বিজয়ী হন আনুষ্কা পাত্র। এ নিয়ে অন্তর্জালে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিচারকরা। নেটিজেনদের একাংশ বিজয়ী অর্কদীপকে নিয়ে বাজে ভাষায় মন্তব‌্য করছেন। নেটিজেনদের দাবি—‘বিজয়ী হবেন আনুষ্কা। কিন্তু বিচারকরা টাকা খেয়ে বিচার করেছেন।’

বিজয়ী হওয়ার মধ‌্য দিয়ে রাতারাতি নাম-যশ-অর্থ-খ্যাতি পেয়েছেন অর্কদীপ। বিষয়টি তার ভালো লাগছে। কিন্তু খ্যাতির সঙ্গে রাতারাতি কু-খ্যাতিও জুটেছে বলে মনে করেন এই শিল্পী।

অর্কদীপ বলেন—আমার লোকগান গাওয়া নিয়ে বেশ কিছু মানুষের আপত্তি রয়েছে। তাদের প্রশ্ন, শুধুই লোকগীতি গেয়ে কীভাবে সেরা হলাম? কারণ, তাদের মতে লোকগান নাকি আলাদা করে শিখতে হয় না। খুবই সহজ ব্যাপার! আমি নাকি আমার ‘কমফর্ট জোন’ থেকেই বের হইনি। অথচ শো বলছে, আমি কিশোর কুমার, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, অমিত ত্রিবেদী, শাহরুখ খান অভিনীত সিনেমার গান সহ নানা ধারার গান গেয়েছি। তারপরেও শুনতে হচ্ছে, আমি নাকি এক ধারার গান গেয়ে এই সম্মান পেয়েছি। আমার পাতায় গেলেই দেখতে পাবেন আমার গান, গায়কির সমালোচনার পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে।

প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অর্কদীপ। কারণ সবসময় ‘ভালো’ শোনাটাও ভালো নয়। তার ভাষায়—সমালোচনা ভালো, সমালোচনা প্রয়োজন। সারাক্ষণ ‘ভালো’ শোনাটাও ভালো নয়। কিন্তু ব্যক্তিগত বিষয় বা মা-বাবাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করলে গায়ে লাগে। এটাও ঠিক, আমরাই কত সময় বাড়িতে মাংস-ভাত খেতে খেতে শচীন টেন্ডুলকারের খেলার সমালোচনা করি। এটাই জীবন। এখন থেকে এগুলো নিয়েই চলতে হবে। তবে আমার দিক থেকে আমি খুবই পরিষ্কার। ফাঁকি দিয়ে এই সম্মান পাইনি। বিচারকেরা এই বিশেষ সম্মান জানিয়েছেন। তাকে অস্বীকার করার সাধ্য আমার নেই। তবে এখন মনে হচ্ছে, ক্ষমতা থাকলে এই সম্মান ফিরিয়ে দিতাম।