আগামী ১৭ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ইয়ুথ আর্ট কম্পিটিশন’। মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। চার বিভাগে নির্বাচিত ১০০টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে ভার্চুয়াল এই আয়োজনে।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১২টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। শিল্পকলা একাডেমির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম।
১৭ জুন বিকাল ৪টায় এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে যুক্ত থাকবেন তাহা আয়হান (প্রেসিডেন্ট, আইসিওয়াইএফ, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক), বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওআইসি’র ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের ১৮-৩৫ বছর বয়সী মোট ৩৩৫ জন চারুশিল্পী বাংলাদেশ অঞ্চল, এশিয়া অঞ্চল, বিশ্বের অন্যান্য দেশ—এই তিনটি অঞ্চল থেকে ৪টি মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। মাধ্যমগুলো হলো: কনটেম্পোরারি আর্ট, ক্যালিওগ্রাফি, ফটোগ্রাফি, গ্রাফিক আর্ট। ছয়টি বিষয়ে শিল্পীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ছবি আঁকার বিষয় হলো: বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড বাংলাদেশ, কোভিড প্যানডেমিক, হিউম্যানিটি ইন রিফিউজি ক্রাইসিস, ইয়ুথ স্প্রিট ইন টেকনোলজি, ইসলামিক আর্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ।
বাংলাদেশ থেকে ১২জন এবং আইসিওয়াইএফ থেকে নির্বাচিত ৭জন বিচারক প্রদর্শনীর জন্য ১০০টি শিল্পকর্ম নির্বাচন এবং আঞ্চলিক পুরস্কার নির্বাচন করেন। বাংলাদেশ অঞ্চলে চারটি মাধ্যমে নির্বাচক হিসেবে ছিলেন—অধ্যাপক জামাল আহমেদ, অধ্যাপক মইনুদ্দীন আহমেদ, শিল্পী সৈয়দা মাহবুবা করিম (কনটেম্পরারি আর্ট), মুস্তফা জামান, মাহবুব মোর্শেদ, ফেরদৌস আরা বেগম (ক্যালিওগ্রাফি), অধ্যাপক মামুন কায়সার, অধ্যাপক নাইমা হক, শিল্পী ফারজানা আহমেদ শান্তা (গ্রাফিক ডিজাইন), নাসির আলী মামুন, খন্দকার মফিজুল ইসলাম, এম. ইউসুফ আলী (ফটোগ্রাফি)। এছাড়াও এশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে সম্মানিত ব্যক্তিরা বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনটি অঞ্চল থেকে ৪টি মাধ্যমে ৩২টি আঞ্চলিক পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পুরস্কার ৫০০ ডলার, দ্বিতীয় পুরস্কার ৩০০ ডলার, তৃতীয় পুরস্কার ২০০ ডলার। প্রদর্শিত ১০০ চিত্রকর্ম থেকে ৪টি বিভাগে একটি করে সেরা চিত্রকর্ম নির্বাচন করা হবে। সেরা চারটি চিত্রকর্ম পুরস্কার হিসেবে পাবে ২ হাজার ৫০০ ডলার করে। তা ছাড়া প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে একটি করে সনদপত্র প্রদান করা হবে। প্রদর্শনীটি ভার্চুয়ালি দেখা যাবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং ওআইসি’র ওয়েবসাইট থেকে।