বিনোদন

কলকাতায় পর্নোগ্রাফির শুটিং, গ্রেপ্তার অভিনেত্রী

পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা। এ নিয়ে চলছে দারুণ সমালোচনা। এবার জানা গেল, কলকাতার বালিগঞ্জেও পর্নোগ্রাফির শুটিং হতো। এরই মধ‌্যে ফটোগ্রাফার মৈনাক ঘোষ ও এক অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতার নিউটাউন থানা পুলিশ।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ‌্যম জানিয়েছে, পর্নোগ্রাফি কাণ্ডে অভিযুক্ত ফটোগ্রাফার মৈনাক ঘোষকে জেরার পর বালিগঞ্জের এই ঠিকানার সন্ধান পায় পুলিশ। মৈনাকের তথ‌্য নিয়ে শনিবার (৩১ জুলাই) বালিগঞ্জের গড়চা এলাকার শরৎ পার্ক রোডের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় পুলিশ পর্নোগ্রাফির শুটিংয়ের জন্য ব‌্যবহৃত ক্যামেরা এবং যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করেছে। অন্যদিকে, বাড়ির মালিক মৈনাক ঘোষ এবং পর্নোগ্রাফি কাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃত অভিনেত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কিছুদিন আগে এক যুবতী নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তা থেকে পুলিশ জানায়, মডেলিং জগতে বড় সুযোগ দেওয়ার নামে তার ‘বোল্ড’ ছবি তুলে এখন তা পর্নো সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। পুলিশ তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, ফেসবুকে এক ফটোগ্রাফারের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয়। সেখান থেকেই ফটোশুটের প্রস্তাব আসে। গ্ল্যামার দুনিয়ার হাতছানিতে সাড়া দিয়ে ওই তরুণীও ছবি তুলতে রাজি হন। এরপরই বালিগঞ্জের একটি বাড়িতে ছবি তোলার ব্যবস্থা করা হয়।

এই তরুণীর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়াতে অভিযুক্তদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপরই তাকে নিউটাউনের একটি তিন তারা হোটেলে যেতে বলা হয়। সেখানে আটতলার একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে জোর করে পর্নোগ্রাফির ভিডিও করানো হয়। সম্প্রতি তিনি দেখেন, সেসব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।

অভিযোগকারী তরুণী বলেন—‘সেদিন আমরা তিনজন গিয়েছিলাম। ম্যাডামকে বললাম আমাদের তো অন্য ছবির কথা বলা হয়েছিল। এখন তো অন্য কথা বলছেন। উনি বলেন, আমাদের কোঅর্ডিনেটরকে জানিয়েছেন। এই শুট না হলে আমরা বেরোতেও পারব না। আমাদের হুমকি দেওয়া হয়।’

শুটিংয়ের পর এসব ভিডিও পাঠানো হতো সিঙ্গাপুরে যশ ঠাকুর ওরফে অরবিন্দ শ্রীবাস্তবের কাছে। এই যশ একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো—যশ ঠাকুরের সঙ্গে শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার নামও জড়িয়েছে। যদিও যশ রাজের সঙ্গে যুক্ত নন বলে দাবি করেছেন।