বিনোদন

কথিত মডেল-অভিনেত্রীদের অপকর্মের নেপথ্যে কী? 

তারকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে অনেকেই রুপালি জগতে আসেন। কিন্তু এদের অধিকাংশেরই স্বপ্নভঙ্গ হতে সময় লাগে না। অনেকেই তখন বেছে নেন ভিন্ন পথ। সহকর্মীদের বিলাসী জীবন, মাদকের মায়াজাল, উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাদের সর্বনাশের পথে নিয়ে যায়। এই পথে হাঁটতে তাদের প্রয়োজন একটি পরিচয়; যা তাদের নিশ্চয়তা দেয়। ‘নায়িকা’, ‘মডেল’ ইত্যাদি পরিচয় কাজে লাগিয়ে তখন তারা হয়ে ওঠেন ‘রাতের রানী’।

‘মিডিয়া রিলেটেড মানুষগুলো পরিচিত বলেই তাদের বিষয়গুলো একটু বেশি হাইলাইট হয়।’ উল্লেখ করে এ প্রসঙ্গে মডেল তৃণ বলেন, ‘মডেল হিসেবে আমরা পছন্দ করি ভালো ব্র্যান্ড, লাক্সারি লাইফ, শো-আপ করা, বিদেশ ভ্রমণ ইত্যাদি। এগুলো আমারও ভালো লাগে। এই জায়গা থেকে আমি বলবো না যে- কেউ দেহ ব্যবসা করছেন বা অন্য কিছু। আমার সামনে আমার কোনো সহকর্মী কোনো রিচ ম্যানের সঙ্গে ডেট করলে আমি বলবো না- এটা রং। সে ওই লাইফ চায় বলেই ডেট করে। একটা কলেজের মেয়েরও ব্রেকআপ হতে পারে। তাকে নিয়ে কিন্তু সমালোচনা নেই। সেই বিষয়টি যখন কোনো মডেলের হয় তখন সমালোচনার ঝড় ওঠে।’

মডেল, অভিনেত্রী এদের লাইফ স্টাইলের সঙ্গে একসঙ্গে উচ্চারিত হয় ‘মাদক’ শব্দটি। তৃণ বিষয়টিকে ‘যার যার পার্সোনাল ম্যাটার’ মনে করেন। ‘মডেলকে শরীরচর্চা ও ডায়েট করতে হয় রেগুলার। সেক্ষেত্রে ড্রাগ নেয়ার সুযোগ কোথায়?’ প্রশ্ন করেন তৃণ। 

‘আমি দশ বছর মডেলিং করি। দেশে নামকরা বড় বড় শো করেছি, নামকরা ব্র্যান্ডের কাজ করেছি। কিন্তু কখনও মৌ আক্তার নামে কাউকে দেখিনি, নামও শুনিনি। অনেক সময় এমন হয়, কেউ একজন সুইসাইড করেছে, দেখা গেছে কোনো এক সময় সে পত্রিকার জন্য ফটোশুট করেছে; তখন তাকে ‘মডেল’ বলে চালিয়ে দেয়া হয়।’ বলেন তৃণ। 

এদিকে আটক হওয়া পিয়াসা, মৌ ও শিলা মিডিয়ার কেউ নয় বলে দাবি করেছেন ডিরেক্টর গিল্ডের সভাপতি সালাউদ্দিন লাভলু। তিনি বলেন, ‘তথাকথিত এসব মডেল, অভিনেত্রীদের কাজে শিল্পী ও কলাকুশলীরা বিব্রত। এরা কোনো সংগঠনের সদস্য নন। তাদের আমরা চিনি না।’ প্রকৃত শিল্পী যারা তারা কখনও এমন ঘটনায় জড়াবে না বা তাদের নৈতিকতা এটা সমর্থন করবে না বলে জানান লাভলু।