বিনোদন

‘এ আমার কি হলোরে’

শিবানন্দপুরের গ্রামের সহজ-সরল মুদি দোকানদার মোফা। বিয়ের বয়স পার হতে চললেও বিয়ে করতে চায় না। ভাই-ভাবী বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে আসলেও মোফা বিয়ে করতে কোনোভাবেই রাজি হয় না। তার একটাই কথা—‘বিয়ে করা মানেই জীবনটা ইটের ভাটার মধ্যে ছেরে দেওয়া।’ দোকান আর বাড়ি এই হলো মোফার জীবন। একদিন মোফা দোকানের মাল কিনে পাশের গ্রাম বিদ্যানন্দকাঠী দিয়ে হাট খোলা থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে দেখা হয় ওই গ্রামের গফুর মহাজনের ছোট মেয়ে চামিলীর সঙ্গে। চামিলীকে দেখে তার খুব পছন্দ হয়। অবস্থা এমন যে, সে আর বাড়িতেই ফিরতে পারছে না!

তারপর শুরু হয় মোফার বিয়ের তোরজোর। ভাই-ভাবীকে জানিয়ে দেয়, বিয়ে করব মেয়ে ফাইনাল। ভাই-ভাবী মেয়ে দেখতে চাইলে মোফা বলে, ‘মেয়ে আমি দেখচি তোমরা ডাইরেক বিয়ের দিন ফেলাও।’ এরপর ধুমধাম করে বিয়ে করতে যায় মোফা। বিয়ে পড়ানোর পর শুরু হয় ঝামেলা। মোফার বক্তব্য ‘যে মেয়ে দেখেছে, এই মেয়ে সেই মেয়ে না।’ গফুর মহাজনের দুই মেয়ের মধ্যে চামিলী ছোট জোনাকী বড়। তার বক্তব্য—‘বড় মেয়ে রেখে কি আমি ছোট মেয়ে বিয়ে দেব? আর তারা তো আমার মেয়ে দেখতেই চাইনি।’ অবশেষে মোফা জোনাকীকেই ঘরে আনতে বাধ্য হয়।

মোফা বিয়ের রাতে ঘরে না গিয়ে সারারাত বারান্দায় বসে কান্না করে। বউয়ের সঙ্গে কোনো কথা বলে না। ভোরবেলায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়, গভীর রাতে বাড়ি ফেরে। এইভাবে চলতে থাকে মোফার সংসার। এক পর্যায়ে দুই পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত হয় ছাড়াছাড়ির। যেদিন জোনাকী তার বাবার বাড়ি ফিরে যাবে, সেদিনই মোফা রাস্তা পার হতে গিয়ে মারাত্মকভাবে দুই পায়ে আঘাত পায়। অসুস্থ স্বামীকে ফেলে যেতে চায় না জোনাকী। শুরু হয় স্বামীকে সুস্থ করার নিরন্তর চেষ্টা।

এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে একক নাটক ‘এ আমার কি হলোরে’। এটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন সুজিত বিশ্বাস। এতে মোফা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির। তার স্ত্রীর চরিত্রে দেখা যাবে ঊর্মিলা শ্রাবন্তী করকে। এছাড়াও অভিনয় করেছেন—আনিসুর রহমান বরুণ, শামীমা জামান, কাজী উজ্জ্বল, রানী, মামুন, সুজিত বিশ্বাস প্রমুখ। শনিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টায় আরটিভিতে প্রচার হবে নাটকটি।