পরীমনির মুক্তির দাবিতে আজ বিকেলে সমাবেশ করেছে নাগরিক সমাজ। ‘শিল্পীর পাশে’ শিরোনামের ব্যানারে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির আহ্বায়ক নাট্যনির্মাতা মোস্তাফা মনন। সমাবেশে উপস্থিত হয়ে পরীমনির জামিন ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে দেশের শিল্পী সমাজ। পাশাপাশি রাজপথে থেকেই এর সুরাহা করবেন বলেও হুঙ্কার দিয়েছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা।
সমাবেশে নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আজকে এখানে দাঁড়িয়েছি, এর মূল যে বিষয় তা হলো একজন শিল্পীর পাশে দাঁড়ানো। শিল্পী কোনো রকমের সমস্যার সম্মুখীন হলে তার পাশে অন্য শিল্পীদের দাঁড়ানো দায়িত্ব। পরীমনির পাশাপাশি চয়নিকা চৌধুরীকেও সেদিন ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। আমরা যে জিনিসটার বিরুদ্ধে থাকি সেটা হলো নারীকে পণ্য হিসেবে বিক্রয়। আজকে এটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। প্রথমেই আমরা এর নিন্দা জানাই। পাশাপাশি নিন্দা জানাই, যতদিন পর্যন্ত এই সব শিল্পীদের যাদের আইনের আওতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের সর্ম্পকে আদালত কোনো রকম রায় দেয়ার আগেই যে ধরনের কটুক্তি করা হচ্ছে সেগুলোর। আমাদের অন্যায়ভাবে ছোট করবেন না।’
রাজপথে থেকে এর সুরাহার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘সে (পরীমনি) বিশ্বের কত বড় একজন মাফিয়া যাকে ধরতে আমাদের এলিট ফোর্সকে বিশাল বাহিনি নিয় যেতে হলো। যে কোনো শিল্পীর প্রতি অনাচার-অবিচারে সোচ্চার আছি, থাকবো।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘পরীমনির গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে মিডিয়া ট্রায়ালের জন্য উসকে দেয়া এই কাজগুলো বেআইনি। আমরা আইনে শাসন চাই। সাংবিধানিক অধিকারের সুরক্ষা চাই। পরীমনি একজন অভিনয়শিল্পী, একইসঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিক। তার আটক প্রক্রিয়া যদি বেআইনি হয় সবার আগেই তো তার জামিন পাওয়ার কথা। আমরা পরীমনির জামিন চাই। আইন সবার জন্য সমান হোক।’
সমাবেশে পরীমনির ন্যায্য বিচারের দাবিতে চলচ্চিত্র নির্মাতা গাজী মাহবুব, নোমান রবিন, শহিদ উন নবী, আজাদ আবুল কালাম, কাজী রোকসানা রুমা, রাজ রিপা, সেতু আরিফ, অপরাজিতা সঙ্গীতা, জয়িতা মহলানবিশসহ অনেক গুণী পরিচালক, শিল্পী, সাংবাদিক, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।