বিনোদন

পরিকল্পিতভাবে মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে আরিয়ানকে: মামলার সাক্ষী

সময়ের সঙ্গে নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের মাদক মামলা। পরিকল্পিতভাবে আরিয়ানকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন এ মামলার সাক্ষী বিজয় পাগারে। গত ৪ নভেম্বর মুম্বাই পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের কাছে বয়ান দিতে গিয়ে এসব কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে বিজয় পাগারের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংবাদমাধ‌্যমটিকে তিনি বলেন—‘আরিয়ানকে গ্রেপ্তারের অভিযানটি পূর্বপরিকল্পিত। মাদক মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আর এটি আমার বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে। পুরো পরিকল্পনাটি গত ২৭ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত করা হয়। ২ অক্টোবর জাহাজে অভিযান চালানো হয়।’

পাগারে তার মুম্বাই পুলিশের কাছে বিবৃতি দিয়েছেন। তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উচ্চ পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তারা গত ৩-৪ নভেম্বর আমার বিবৃতি রেকর্ড করে। পরে বিবৃতিটি আমাকে পড়ে শোনানো হয় এবং আমি তাতে স্বাক্ষর করেছি।’

প্রমোদতরীতে মাদকের আসর বসার খবরটি এনসিবিকে মূলত দিয়েছিলেন সুনীল পাতিল। তার সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে থাকছিলেন বলে দাবি বিজয় পাগারের। মূলত তিনি সুনীলের কাছে টাকা পান, এ কারণেই তার সঙ্গে ছিলেন। আর তখনই পুরো ঘটনার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি।

শনিবার (৬ নভেম্ববর) মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ দাবি করেন—গোটা ঘটনার ‘মাস্টারমাইড’ সুনীল পাতিল। তার সঙ্গে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখের ছেলে হৃষিকেশ দেশমুখের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার দাবিও করেছে বিজেপি। সরকারি দপ্তরে কাকে কোথায় বদলি করা হবে, তাও নাকি সুনীলই নিয়ন্ত্রণ করেন।

বিজেপির এই নেতার আরো অভিযোগ, এই মামলার অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিও সুনীলেরই লোক। এটা বিজেপির বিরুদ্ধে একটা বড় ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন তিনি। তার দাবি, সুনীলের সঙ্গে তাদের কী সম্পর্ক, তা স্পষ্ট করতে হবে এনসিপি নেতাদের।

মুম্বাই পুলিশের বরাত দিয়ে আরেকটি ভারতীয় সংবাদমাধ‌্যম জানিয়েছে, বিজয় পাগারে মহারাষ্ট্রের ধুলের বাসিন্দা। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই সুনীলের সঙ্গে থাকছিলেন। ২০১৮ সালে কিছু কাজের জন্য সুনীলকে টাকা ধার দিয়েছিলেন, সেই টাকা এখনো ফেরত পাননি তিনি। আর এ জন‌্য সুনীলকে অনুসরণ করতে শুরু করেন। এর আগে আহমেদাবাদ ও সুরাটেও তিনি সুনীলের সঙ্গে ছিলেন। মুম্বাইয়ের ললিত ও ফরচুন হোটেলেও একইসঙ্গে ছিলেন তারা।