বিনোদন

যে কারণে ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার ডিভোর্স

ভারতের তামিল সিনেমার সুপারস্টার ধানুশ। সম্প্রতি ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তের সঙ্গে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাদের এই সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন তাদের ভক্তরা।

এদিকে বিচ্ছেদের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানাননি ধানুশ-ঐশ্বরিয়া। তবে তাদের দু’জনেরই এক বন্ধু নাম প্রকাশ না করে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানান, ধানুশ একের পর এক সিনেমাতে অভিনয় করছেন। এজন্য পরিবারকে ঠিকমতো সময় দিতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে ঐশ্বরিয়া অনেকদিন থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। দুই ছেলেকে একা হাতেই মানুষ করছেন ঐশ্বরিয়া। ঝগড়া ঝামেলা থেকে অব্যাহতি পেতে ধানুশ আরো বেশি বেশি সিনেমার কাজ হাতে নিয়ে বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। এ নিয়ে তাদের সমস্যা বাড়তেই থাকে। গত কয়েক বছর ধরে ধানুশের সঙ্গে স্ত্রীর মতের মিল হচ্ছিল না। যার পরিণতি এই ডিভোর্স।

জানা গেছে, কিছুদিন আগেই ডিভোর্সের বিষয়টি জানাতে চেয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। কিন্তু ধানুশ চেয়েছিলেন তার ‘আতরাঙ্গি রে’ সিনেমা মুক্তির পরই এই ঘোষণা দেবেন। তাদের বন্ধুর কথা অনুযায়ী, যে সিনেমা তাদের এক করেছিল পরোক্ষভাবে সেই সিনেমার কারণেই একে অপরের থেকে দূরে সরে গেলেন এই তারকা দম্পতি।

ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত তামিল সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্তের বড় মেয়ে। ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর ধানুশ ও তার বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই ছেলে— যাত্রা ও লিঙ্গা। ঐশ্বরিয়ার পরিচালনায় ‘থ্রি’ সিনেমায় অভিনয় করেন ধানুশ। এই সিনেমার ‘কলাভেরি ডি’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।

গত ১৭ জানুয়ারি মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে ধানুশ লেখেন, ‘১৮ বছর একসঙ্গে বন্ধু, দম্পতি, মা-বাবা ও শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে ছিলাম। উন্নতি, পরস্পরের প্রতি বোঝাপড়া, মানিয়ে নেওয়া, আয়ত্ত্ব করার একটা জার্নি ছিল। আজ এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যেখানে আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেছে। ঐশ্বরিয়া ও আমি দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিজেদেরকে আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য সময় নিচ্ছি।’ পাশাপাশি তাদের এই সিদ্ধান্তটিকে সম্মান জানানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছেন ‘মারি’ সিনেমাখ্যাত এই অভিনেতা।

অপরদিকে, একই বিবৃতি পোস্ট করেন ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। বিবৃতিতে তিনি নিজের নাম ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত লিখেছেন। ক্যাপশনে রজনীকান্ত কন্যা লিখেছেন, ‘কোনো ক্যাপশনের প্রয়োজন নেই। শুধু আপনারা বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করবেন এবং আপনাদের ভালোবাসা প্রয়োজন।’