বিনোদন

সমিতির সঞ্চয়কে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ বললেন কাঞ্চন

আগামী ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে কথার লড়াই। বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর যখন শিল্পী সমিতির কোষাগারে ১২ লক্ষ টাকা মজুত আছে বলে গর্ব করছেন, তখন তার উচ্ছ্বাসে পানি ঢেলে বিষয়টিকে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ বলেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

গতকাল রাজধানীর সামুরাই কনভেনশন সেন্টারে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের প্যানেল পরিচিতি সভা হয়। সভায় মিশা সওদাগর দাবি করেন, ইতিহাসে প্রথমবার ১২ লাখ টাকা শিল্পী সিমিতির কোষাগরে জমা রেখেছেন তারা। এবার নির্বাচিত হলে ৫০ লাখ টাকা জমা করবেন বলেও আশ্বাস দেন এই অভিনেতা।

মিশার এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিপরীত প্যানেলের সভাপতিপ্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন গতকাল সন্ধ্যায় এফডিসিতে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এখানে একটা শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। এই টাকা পিকনিকের জন্য। করোনার কারণে ২ বছর পিকনিক হয়নি। তাহলে টাকাটা জমা থাকাই স্বাভাবিক। এসব সাধারণ জিনিস নিয়ে মিথ্যাচার করা উচিত না। আমি ১৯৮৯ সালে যখন সাধারণ সম্পাদক ছিলাম তখন ৩ লাখ টাকা রেখেছিলাম। তখনকার ৩ লাখ টাকা এখন কত হিসেব করতে হবে।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন। রোববার সভায় মিশা-জায়েদ প্যানেলের সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী রুবেল দাবি করেছেন, অনেকেই অতিথি পাখির মতো এসে নির্বাচন করছেন। যাদের অন্য সময় খোঁজ থাকে না।

এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চনের ভাষ্য, ‘আমাকে নির্বাচনের জন্য আনা হয়েছে। নিপুণ, রিয়াজ, ইমন, সাইমন সবাই চেয়েছে আমি যেন নির্বাচন করি। সাধারণ শিল্পীরাও চেয়েছে আমি যেন নির্বাচন করি। আর আমি যদি অন্যদের চেয়ে আরও ভালো কাজ করতে পারি তাহলে কেন নির্বাচন করবো না? আমি কি কোনো রাজনৈতিক দল করি? আমি একজন শিল্পী। শিল্পী হিসেবে একজন মানুষ, শিল্পীদের ভাই-বন্ধু। আমি তো মন্ত্রী হতে চাই না, শিল্পীদের সঙ্গে থাকতে চাই।’

এবারের নির্বাচনে তাদের প্যানেল পাস করলে শিল্পী সমিতিতে তিনবার একই পদে প্রার্থীরা নির্বাচন করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।