বিনোদন

৩১ বছর পর নাঈম-শাবনাজের স্মৃতিতে ‘চাঁদনী’

‘চাঁদনী’ সিনেমার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই! ১৯৯১ সালের ৪ অক্টোবর মুক্তি পায় সিনেমাটি। সিনেমাটি সুপারহিট হয়। এ সিনেমার প্রসঙ্গ এলে মনে পড়ে নাঈম-শাবনাজ জুটির কথা। 

সাড়া জাগানো এ জুটিকে ঢাকাই চলচ্চিত্রে উপহার দেন গুণী নির্মাতা এহতেশাম। তার হাত ধরেই ‘চাঁদনী’র মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন এই জুটি। সিনেমাটি নাঈম-শাবনাজ জুটির জন্য একটি মাইল ফলক। 

নাঈম-শাবনাজ রুপালি পর্দার মতো বাস্তব জীবনেও জুটি বেঁধেছেন। তাদের ফেসবুক পেইজে ‘চাঁদনী’ সিনেমার স্মৃতিচারণ করেছেন দুজন। কয়েকটি ছবি পোস্ট করে ছবিগুলোর নেপথ্যের ঘটনার বর্নণা দিয়ে তারা লিখেছেন: ‘‘চাঁদনী’ ছবিটিতে যারা অভিনয় করেছিল তখন মোটামোটি সবাই নতুন ছিলেন দুই একজন ছাড়া। ১৯৯০ সনে কাজ শুরু করার আগে আমরা যারা এই ছবিটিতে অভিনয় করেছিলাম তাদেরকে নিয়ে একটি শিল্পী ও কলাকুশলী পরিচিতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, বা বলা যেতে পারে যে ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। সেই মহরত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।’

ছবিতে দেখা যায়, ‘চাঁদনী’ ছবির পরিচালক মরহুম এহতেশামুর রহমান, বিখ্যাত প্রযোজক এবং পরিচালক মরহুম কাজী জহির, বিশিষ্ট পরিচালক এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ জনাব মরহুম আব্দুল জব্বার খান, তখনকার সময়ের এফডিসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম, খান আতাউর রহমান, অভিনেতা খালেদ, অভিনেত্রী রোজী, অভিনেত্রী শাবনাজ, অভিনেতা নাঈম, লিলি, সাদেক বাচ্চু, কৌতুক অভিনেতা তাম্বুরা বাদী এবং স.ম. হুমায়ুনকে (শাবনাজের বাবা)। ছবিতে একটা অংশে দেখা যায় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব খান আতাউর রহমান শাবনাজের গলায় মালা পরিয়ে দিচ্ছেন।  

সিনেমার মুক্তির ৩১ বছর পেরিয়ে গেলেও আজো লাখো ভক্তদের মনে ‘চাঁদনী’ রয়ে গেছে। এই সিনেমার পর ‘চোখে চোখে’,  ‘লাভ’, ‘অনুতপ্ত’, ‘জিদ’ প্রভৃতি সিনেমায় দেখা গেছে নাইম-শাবনাজকে।