বিনোদন

ফের সালমানকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য সোমির

৮ বছর প্রেম করার পর পাকস্তানি তরুণী সোমি আলির হৃদয় ভাঙেন সালমান খান। তারপর বলিউডকেই চিরতরে বিদায় জানিয়েছিলেন এই প্রাক্তন অভিনেত্রী।

ব্যক্তি জীবনে সালমান প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন অসংখ্যবার। তার এ অসংখ্য প্রেমিকার মধ্যে কেউই কখনও সালমানকে খারাপ বলে মন্তব্য করেননি। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম সোমি আলি।

প্রাক্তন এ প্রেমিকা সালমানের নামে নিত্যনতুন বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন বেশ কিছুদিন ধরেই। সর্বপ্রথম সালমানের নামে তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘সালমান নারী নির্যাতক, বিকৃতমনা, অসুস্থ, ভগবান ভেবে তাকে পূজা করা বন্ধ হোক।’

সালমানের বিরুদ্ধে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সালমান অসুস্থ।  অন্যকে দুঃখ দিয়ে ও আনন্দ পায়। শুধু আমাকে নয়, এমন বহু নারীর ওপর অত্যাচার করেছে সালমান।’

নব্বইয়ের দশকে সালমান খান-সোমি আলির প্রেম ছিল খুল্লামখুল্লা। তাদের তিক্ত বিচ্ছেদ বলিউডে কারো অজানা নয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সালমানকে নিয়ে আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী সোমি আলি।

বলিউডের ‘ভাইজানে’র নামে এবার ভয়ঙ্কর অভিযোগ সোমির। সালমানের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন প্রেমিকার অভিযোগ, ‘আমার বাড়ির পরিচারিকা সহ আশেপাশের সবাই সচেতন ছিল… ও আমাকে হেনস্থা করতে পারে। আমার পরিচারিকা বেডরুমের দরজা বারবার ঠকঠক করে ওর কাছে আবেদন করত, যেন ও আমাকে আর না মারে।’ আরও অভিযোগ, ‘ক্ষত ঢাকতে মেকআপ আর্টিস্ট আমার ঘাড়ে প্রচুর ফাউন্ডেশন লাগাতো।’

১৯৯১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সম্পর্কে ছিলেন সালমান আর সোমি। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ দেখেই সালমানের প্রেমে পড়েছিলেন সোমি। এরপর পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসেন তিনি। ‘বুলন্দ’ নামের সিনেমায় সালমানের নায়িকা হওয়ার সুযোগ পান সোমি। শুটিংও শুরু হয়েছিল সিনেমাটির, তবে মাঝপথে আটকে যায় সেই প্রোজেক্ট। তবে আটকায়নি সোমি-সালমানের প্রেম। দীর্ঘ আট বছর চুটিয়ে প্রেম করেন তারা। সালমানের সঙ্গে প্রেম ভাঙার পর বলিউড ছাড়েন এই পাক সুন্দরী।

জানা যায়, সোমির সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনই ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় সালমানের। এর জেরেই ভাঙে দুজনের সম্পর্ক। সাত বছরের বলিউড ক্যারিয়ারে ‘কৃষাণ অবতার’, ‘অন্ত’, ‘আও পেয়ার কারে’, ‘আন্দোলন’, ‘তিসরা কৌন’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোমি আলি।

১৯৯৯ সালে সালমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের বেশ কয়েক বছর পর স্থায়ীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান সোমি। সেখানে নতুন করে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন। এরপর লেখিকা, সমাজকর্মী হিসাবে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর নারীর ক্ষমতায়ন নিয়েও সোচ্চার এই প্রাক্তন অভিনেত্রী।