বিনোদন

ইয়াসমিনের গল্পে কি শেষ পর্যন্ত সিনেমা হবে?

চলচ্চিত্রকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিজের মধ্যে ধারণ করে পরিচালক নির্মাণ করেন একটি পরিপূর্ণ চলচ্চিত্র। আবার অনেক সময় সত্য ঘটনা অবলম্বনেও নির্মাণ করা হয় সিনেমা। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের অনুমতি প্রয়োজন। অনুমতি সাপেক্ষে সিনেমা নির্মাণ করলেও মুক্তির আগে পার হতে হয় সেন্সরের গণ্ডি। সেন্সর বোর্ড সদস্যরা সিনেমাটি দেখে ছাড়পত্র দেন। এ ক্ষেত্রে অশ্লীলতা, পুলিশকে ছোট করা, সমাজ বা রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন কোনো গল্পের বা দৃশ্যের সিনেমা কর্তনসাপেক্ষে ছাড়পত্র দেয়া হয়। 

কিছু দিন আগেও সিনেমায় অশ্লীলতা এবং পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন নির্মাতা অনন্য মামুন। দিনাজপুরের কিশোরী ইয়াসমিনকে পুলিশ সদস্যদের সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি নিয়ে এবার সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন নির্মাতা সুমন ধর। সিনেমাটিতে ইয়াসমিনের চরিত্রে অভিনয় করবেন বিদ্যা সিনহা মিম। কিন্তু পর্দায় এমন গল্প শেষ পর্যন্ত তুলে আনতে পারবেন কি এই নির্মাতা? আর এমন গল্প পর্দায় দেখানো কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। 

‘আমি ইয়াসমিন বলছি’ শিরোনামের নতুন এই সিনেমা নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে ইয়াসমিনের মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন নির্মাতা সুমন ধর।

এদিকে বর্তমানে কলকাতার ‘মানুষ’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত মিম। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন টলিউড সুপারস্টার জিৎ। ইয়াসমিন চরিত্রে অভিনয় করতে ওজন কমাতে হবে নায়িকাকে। কলকাতা থেকে ফিরে ওজন কমিয়ে এপ্রিল নাগাদ মিম শুটিং শুরু করবেন বলে জানান সিনেমাটির নির্মাতা।