বিনোদন

বাগদানের পরও কেন বিয়ে ভেঙেছিলেন তৃষা?

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তৃষা কৃষ্ণান। তার প্রেম-বিয়ে নিয়ে নানা সময় নানারকম গুঞ্জন চাউর হয়েছে। ২০১৫ সালের শুরুতে প্রযোজক বরুণ মানিয়ানের সঙ্গে বাগদান সারেন তৃষা। কিন্তু বিয়ের আগে বাগদান ভেঙে দেন এই অভিনেত্রী।

বাগদানের পরও তৃষা কী কারণে ভেঙে দিয়েছিলেন এই বিয়ে? এ বিষয়ে সিয়াসাত ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তৃষা-বরুণ পরস্পরকে পছন্দ করে ঘর বাঁধার দিকে পা বাড়ান। কিন্তু বাদ সাধে বরুণের পরিবার। কারণ বরুণ ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। তাই তারাও একই ব্যাকগ্রাউন্ডের মেয়ে চাচ্ছিলেন। এজন্য তৃষাকে অভিনয় ছাড়তে বলেন বরুণ। এসব বিষয় নিয়ে তর্কে জড়ান এই জুটি। সর্বশেষ বিয়ে ভাঙার মধ্য দিয়ে এই জার্নির ইতি টানেন তৃষা। 

অন্য একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাগদান অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের নিয়ে তৃষার সঙ্গে ‘নোংরা’ ঝগড়ায় লিপ্ত হন বরুণ। কারণ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ধানুশ। বরুণের সঙ্গে ধানুশের ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল। এসব বিষয়ও বিয়ে ভাঙতে অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে।

তৃষা কৃষ্ণানের সঙ্গে বেশ কজন জনপ্র্রিয় অভিনেতার নাম জড়িয়েছে। ‘বাহুবলি’খ্যাত অভিনেতা রানা দাগ্গুবতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তৃষা। এরপর মিহীকা বাজাজের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রানা। ২০২০ সালের ৮ আগস্ট তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন গুঞ্জন চাউর হয়, অভিনেতা সিম্বুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তৃষা। শুধু তাই নয়, তাদের বিয়ের আসরের কিছু ছবি অন্তর্জালে ভাইরাল হয়। কিন্তু বিষয়টি মিথ্যা-বানোয়াট বলে দাবি করেন তৃষা।

তা ছাড়াও দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা থালাপাতি বিজয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তৃষা। এটি ২০০৫ সালের ঘটনা। ‘গিলি’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বলে গুঞ্জন উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্ত্রীর সঙ্গে বিজয়ের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে এ সম্পর্ক আর আগায়নি।   

ব্যক্তিগত জীবনে এখনো একা ৪০ বছর বয়সী তৃষা। সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন তৃষা। বিয়ের বিষয়ে তিনি বলেন— ‘আমি কেন বিয়ে করছি না এ প্রশ্ন মানুষ আমাকে প্রায়ই করেন। তারা মনে করেন, আমার এখন বিয়ে করা উচিত। এসব মানুষ বিয়ের কথা যেভাবে বলেন তা আমার পছন্দ নয়। আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে জিজ্ঞাসা করেন আমি কখন বিয়ে করব, তাহলে আপনি উত্তর পাবেন।’

তবে কবে বিয়ে করছেন তা এখনো জানেন না তৃষা। তার ভাষায়— ‘আমি সত্যি জানি না কখন বিয়ে করব। এর পুরোটাই নির্ভর করে আমি কার সঙ্গে আছি, কার সঙ্গে দেখা করছি। আমি সেই মানুষটিকে অনুভব করতে চাই, যার সঙ্গে সারাজীবন কাটাব।’

১৯৯৯ সালে ‘মিস মাদ্রাজ’ খেতাব জয়ের পর ওই বছরই চলচ্চিত্রে নাম লেখান তৃষা কৃষ্ণান। তার অভিনীত অভিষেক চলচ্চিত্র ‘জুড়ি’। এরপর তামিল, তেলেগু, মালায়লাম ও হিন্দি ভাষার অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। বর্তমানে তামিল ভাষার ৩টি ও মালায়ালাম ভাষার একটি সিনেমার কাজ তৃষার হাতে রয়েছে।