বিনোদন

‘বিদেশে থেকেও ভালো ভালো কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি’

লাক্স তারকা সৈয়দা তাজ্জি। ২০০৮ সালে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ নির্বাচিত হন তিনি। এরপর অভিনয় করেন নাটক-টেলিফিল্ম ও বিজ্ঞাপনে। এখন স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াতে পুরোপুরি থিতু হয়েছেন। সেখানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে একটি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত আছেন। ব্যক্তিগত জীবন, অভিনয় ক্যারিয়ারসহ নানা বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।

রাইজিংবিডি: প্রবাস জীবনে কেমন আছেন? সৈয়দা তাজ্জি: আলহামদুলিল্লাহ ভালো।

রাইজিংবিডি: ছোট ৩টি সন্তান সামলে অস্ট্রেলিয়াতে চাকরি করছেন। সবকিছু কীভাবে সামাল দেন? সৈয়দা তাজ্জি: আসলে সবকিছু একা তো সামলাই না! পরিবার একটি টিম আর প্রতিটি সদস্য যখন ঠিকমতো সব কাজ করতে পারেন, সেটা টিমওয়ার্ক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, পার্টনারের সাপোর্ট। আর সেটা থাকলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে আমি অনেক লাকি। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে এই চেক অ্যান্ড ব্যালান্স করাটা খুব জরুরি। যদিও এখন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছি। খুব শিগগির চাকরিতে যোগ দেব। কিন্তু তার আগে দেশ থেকে ঘুরে আসব।

রাইজিংবিডি: কবে নাগাদ বাংলাদেশে আসবেন? সৈয়দা তাজ্জি: সবকিছু ঠিক থাকলে ইনশাল্লাহ ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে যাব।

রাইজিংবিডি: অনেক দিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন… সৈয়দা তাজ্জি: অভিনয় থেকে দূরে আছি বললে ভুল হবে! দেশের বাইরে আছি অলমোস্ট ১৩ বছর ধরে। আর এর মধ্যে বাংলাদেশে গিয়েছি প্রায় ১৫ বার! হা হা! আমি সবসময় মনে করি, ক্যারিয়ার একটাই থাকতে হবে এমন ভাবা ঠিক না। হ্যাঁ, অভিনয় ক্যারিয়ারটা একেবারে রাখতে পারিনি। কিন্তু একেবারে ছাড়তেও পারিনি।

রাইজিংবিডি: প্রবাসে থেকেও কী কাজের প্রস্তাব পাচ্ছেন? সৈয়দা তাজ্জি: অভিনয় আমার কাছে ডেজার্টের মতো। খুব লোভনীয়! দেশের বাইরে ৯টা-৫টা চাকরির পর যখন ক্লান্তি আসে, তখন ডেজার্ট খেতে ইচ্ছা হয়। আর তখন দেশে চলে যাই। আমি বলবো, আমি অনেক প্রিভিলেজ। কারণ দেশের বাইরে থেকেও অনেক ভালো ভালো কাজের প্রস্তাব এখনো পাচ্ছি, যা অনেকে বাংলাদেশে থেকেও পান না! আর তাই দেশে থাকার সময়টুকু যতটা পারি কাজে লাগাই! গত বছর এক মাসে ৪টি টিভিসিতে কাজ করেছিলাম। এসবের বেশির ভাগ কাজের নির্দেশনায় ছিলেন আদনান আল রাজীব, সাবরিনা আইরিন, সাকিব ফাহাদের মতো ভালো নির্মাতারা। কাজ করেছি আলফা আই প্রোডাকশনের। মিজানুর রহমান আরিয়ানের ভালোবাসা দিবসের নাটকে কাজ করেছি। সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এ নাটকের নাম ‘উৎসবের রাত’। এভাবেই চেষ্টা করি দেশে না থেকেও কাছে থাকার।

রাইজিংবিডি: অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে আপনার পরিকল্পনা জানতে চাই। সৈয়দা তাজ্জি: আমি পরিকল্পনা কম করি, জীবনের স্রোত অনুযায়ী চলার চেষ্টা করি। এছাড়া আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী। তবে অভিনয় নিয়ে আমি সবসময় ইতিবাচক থাকতে চাই। দেশের বাইরে থাকার কারণে হয়তো ১০টা ভালো কাজ একেবারে করতে পারি না। কিন্তু একটা ভালো কাজের অপেক্ষায় সবসময় থাকবো। শুধু সেই কাজের কারণে যদি দেশে গিয়ে থাকততে হয়, তবু সেটা করব। তা ছাড়া গান নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।