গত ৮ আগস্ট দিবাগত রাতে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুন করা হয়। ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে কলকাতাবাসী।
প্রতিবাদ জানিয়ে রাজপথে নেমেছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। কলকাতার তারকা অভিনয়শিল্পীরাও প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিলে যোগ দিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন— শ্রীলেখা মিত্র, স্বস্তিকা মুখার্জি, সৃজিত মুখার্জি, শাশ্বত চ্যাটার্জি, রাজ চক্রবর্তী, অঙ্কুশ হাজরা, পরমব্রত চ্যাটার্জি, পাওলি দামসহ অনেকে।
গতকাল প্রতিবাদ মিছিলে পা গলিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন শাশ্বত চ্যাটার্জি। এ অভিনেতা বলেন, ‘বিচার যত তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, ততই ভালো। কাজের জায়গায় সুরক্ষা। এটা মাস্ট। তা ছাড়া আমাদের যতটুকু চাহিদা ছিল, আমরা (টলিপাড়া) লিখিত দিয়েছি। দেখা যাক, আশা তো আছে সঠিক বিচারের!’
শুধু পুলিশ-প্রশাসন নয়, পুরুষদের লজ্জা হওয়া উচিত বলে মনে করেন শাশ্বত। এ বিষয়ে ‘কল্কি’খ্যাত অভিনেতা শাশ্বত বলেন, ‘ভবিষ্যতে যেন এগুলো আর না ঘটে! তার জন্য তো শুধু পুলিশ-প্রশাসনকে দায়ী করলে চলবে না। আমাদের পুরুষদেরও একটু লজ্জা হওয়া উচিত।’
গত ৮ আগস্ট, রাতের শিফটে দায়িত্ব পালন করছিলেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী চিকিৎসক। পরের দিন সকালে হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে।
এ ঘটনায় পর তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১২ আগস্ট এ ঘটনার জল কলকাতা হাই কোর্টে গড়ায়। মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীরা পুলিশের উপর আস্থা না রেখে তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আবেদন করেন। পরের দিন মামলার শুনানিতে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্ট।
গ্রেপ্তার সঞ্জয়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তা ছাড়া দফায় দফায় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষসহ অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। তদন্তভার নেওয়ার চারদিন পরেও সিবিআই কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি।