ভারতীয় বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চ্যাটার্জি। উত্তম কুমারের সঙ্গে এ অভিনেত্রীর পর্দার রোমান্স এখনো মনে দোলা দেয়। তাদের রিল লাইফের প্রেম ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছিল। মজার ব্যাপার হলো, সাবিত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কয়েক দিন আগে ৮৮ বছর বয়সে পা দিলেন সাবিত্রী। এ উপলক্ষে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেন ৮৪ বছরের পরাণ। এ আলাপচারিতার স্মৃতির ঢাকনা খুলে ‘গোপন’ খবর নিজেই জানান।
পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভাঙা গড়া’ সিনেমায় সাবুদিকে প্রথম দেখেছিলাম। বড়পর্দায় উনাকে দেখে সেদিনই প্রেমে পড়ে যাই। এখনকার সময় হলে হয়তো ‘প্রপোজ’ করে ফেলতাম। একসঙ্গে পথ চলতে চাইতাম। কিন্তু সাহস হয়নি মুখ ফুটে বলার।”
একটি ঘটনা বর্ণনা করে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা দুজন ‘সোনার হরিণ’ নামে একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলাম। পর্দায় আমাদের দেখে সাবুদির বড়দি বলেছিলেন, ‘দুজনকে বড্ড ভালো মানিয়েছে।’ এই কথা শুটিং ফ্লোরে এসে আমাকে জানান সাবুদি। জবাবে সেদিন মজার ছলে বলেছিলাম, ‘এই জন্মে তো হলো না। এখন থেকেই ইঁট পেতে রাখলাম। পরের জন্মে কিন্তু অন্য কারো কাছে যেও না।’ আসলে আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা বড্ড মধুর। তাই অনায়াসে একে অপরকে অনেক কথা বলতে পারি।”
সাবিত্রীর প্রতি কুর্নিশ জানিয়ে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হলফ করে বলতে পারি, উনার মতো অভিনেত্রী দুটো নেই। সুযোগ পেলে নামজাদা অনেক অভিনেত্রীর থেকে এগিয়ে যেতে পারতেন সাবুদি। জন্মদিনে দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সারাজীবন অভিনয়ের জন্য নিজেকে সমর্পণ করেছেন। উনার ইচ্ছা শক্তিকে কুর্নিশ জানাই।”
১৯৫১ সালে উত্তম কুমার অভিনীত ‘সহযাত্রী’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সাবিত্রী। ১৯৫২ সালে ‘পাশের বাড়ি’ সিনেমায় কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। মুক্তির পর সিনেমাটি ব্যবসায়ীকভাবে সফল হয়।
সাবিত্রী চ্যাটার্জি তার ৬০ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে দর্শকদের ভালোবাসা যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি কাজের জন্য অসংখ্য স্বীকৃতি পেয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছে— পদ্মশ্রী, বঙ্গবিভূষণ প্রভৃতি।