বিনোদন

শাহরুখ-কাজলের আইকনিক দৃশ্য নিয়ে গ্র্যামিজয়ী রিকির খোঁচা

শারীরিক-মানসিকভাবে আহত শাহরুখ খান ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে। প্রিয় মানুষ কাজলকে হারানোর চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায় তার চোখ দুটো ছলছল করছে। এক পর্যায়ে ট্রেন ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে। কাজল ছুটে যেতে চাইলে তার হাত ধরেন অমরেশ পুরি। কিছুটা সময় পর কাজলের হাত ছেড়ে দেন, কাজল দৌড়াতে থাকেন শাহরুখের কাছে যাওয়ার জন্য। চলন্ত ট্রেনের কয়েকটি গেট পার হয়ে শাহরুখের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হন কাজল।

‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমার এই দৃশ্য দেখে অসংখ্য দর্শক আনন্দাশ্রুতে চোখের পাতা ভিজিয়েছেন। আদিত্য চোপড়া পরিচালিত এ সিনেমা মুক্তি পায় নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু শাহরুখ-কাজলের আইকনিক এই দৃশ্য নিয়ে এবার খোঁচা দিলেন তিনবারের গ্র্যামিজয়ী ভারতীয় সুরকার রিকি কেজ।

মূলত, এক ভক্ত মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) শাহরুখ-কাজলের আইকনিক দৃশ্যটির ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন। তাতে অনেকে আবেঘন অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। আর সেই পোস্ট নিজের ওয়ালে শেয়ার করে খানিকটা খোঁচা দিয়েছেন রিকি।

মার্কিন নাগরিক রিকি কেজ এ পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, “কোনো চলচ্চিত্র পরিচালক যদি তাদের জীবনে কখনো ট্রেনে উঠে থাকেন, তবে তারা জানেন যে, কাজল ট্রেনের যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারতেন এবং শাহরুখ খানের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হতেন।”

রিকির বক্তব্য নেটিজেনদের কেউ কেউ সমর্থন করেছেন, অনেকে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। একজন লেখেন, “শাহরুখ খানের কাছে পৌঁছানই কাজলের একমাত্র লক্ষ্য ছিল না। শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানো মানেই শাহরুখ খানের কাছে পৌঁছানো।” আরেকজন লেখেন, “জীবন্ত গল্পের সঙ্গে যুক্তি জুড়ে দিয়ে অবর্জনা বানাবেন না।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে কমেন্ট বক্সে। 

যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমা নির্মিত হয়। এ সিনেমায় রাজ ও সিমরান চরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখ খান ও কাজল। ১৯৯৫ সালের ২০ অক্টোবর মুক্তি পায় সিনেমাটি। ৪০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা আয় করে ২০০ কোটি রুপি।

হিসাবটা কেবল বক্স অফিসে নয়, সিনেমাটিতে শাহরুখ-কাজলের রসায়নে ডুবে যান সিনেমাপ্রেমীরাও। ‘মেহেন্দি লাগা কে রাখনা’ গানটি আজও বিয়েবাড়িতে বাজানো হয়। অলটাইম ব্লকবাস্টার এই সিনেমা টানা ১০০৯ সপ্তাহ প্রদর্শিত হয়েছে মারাঠা মন্দিরে। করোনায় সিনেমা হল বন্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত ১২৭৪ সপ্তাহ পার করে সিনেমাটি; যা বিশ্ব সিনেমা জগতে এক অন্যন্য ইতিহাস।