বিনোদন

সন্তানের মৃত্যু ইরফান সাজ্জাদকে যা শিখিয়ে গেছে

‘‘প্রিয়-মায়াদের এমন একটা দেশে রেখে এসেছি চাইলেও দেখতে পারি না’— কথাগুলো বলছিলেন অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ। প্রিয় আর মায়া হলো তার জমজ সন্তান। দুইজনই পৃথিবীর আলো দেখার আগেই মারা গেছে। একজনের করবও দেশে নেই। 

ইরফানের স্ত্রী শারমিন সাজ্জাদ প্রায় দেড় বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। এরপর চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে তার নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল। এর মধ্যেই জানতে পারেন শারমিন মা হতে চলেছেন। হঠাৎ একদিন সকালে শারমিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রয়োজন হয় বড় সার্জারির। ফলে চিকিৎসকেরা ইরফান সাজ্জাদের অনাগত সন্তানদের আর পৃথিবীর আলো দেখাতে পারেননি। শারমিনের শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে সেই মুহূর্তে সার্জারি করা ছাড়া আর কোনো উপায় চিকিৎসকের হাতে ছিল না।

ইরফান সাজ্জাদ এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ আমার সন্তান প্রিয় আর মায়ার কবরটা চেন্নাইতে। যার ফলে বার বার ভারতে যাওয়া হয়। যখনই সময়-সুযোগ হয় ভারতে যাই, গিয়ে ওদের কবরটা দেখে আসি। এমনও মাঝে মাঝে হয়, যারা ভারতের চেন্নাইতে অবস্থান করেন তাদের খোঁজ-খবর আমি রাখি। তাদের সঙ্গে যদি যোগাযোগ করা যায় তাহলে হয়তো গিয়ে ভিডিও কলে ওদের কবরটা একটু দেখাতে বলি।’’

প্রথম দুই সন্তানকে হারানোর পরে আবার বাবা হয়েছেন ইরফান সাজ্জাদ। তিনি বলেন, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ পরবর্তীতে আমাদেরকে আজলানকে দিয়েছেন। ওকে দেখেই সব কিছু ভুলে থাকি। আমি লাইফের আলাদা একটা মানে খুঁজে পেয়েছি আমি। লাইফের একটি ইনসিডেন্ট অনেক ডোর খুলে দেয়। অনেক কিছু চিন্তা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। প্রায়োরিটি নতুন করে সেট করার সুযোগ তৈরি করে দেবে। এই ঘটনার পরে আমি আমার লাইফে নতুন করে প্রায়োরিটি সেট করার সুযোগ পেয়েছিলাম।’’

উল্লেখ্য, অটিজমে আক্রান্ত এক তরুণের জীবন এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রামের গল্প নিয়ে সিনেমা ‘আলী’ মুক্তি পেয়েছে। 'আলী' পরিচালনা করেছন বিপ্লব হায়দার। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ। পর্দায় তিনি অটিজমে আক্রান্ত এক বাকপ্রতিবন্ধী তরুণ আলীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।