বিনোদন

তথ্যচিত্রে কতটা এসেছে বঙ্গবন্ধুর তথ্য?

পাভেল রহমান : মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে জাপানী টিভি চ্যানেলের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নাগিমা ওশিমা নির্মাণ করেন রহমান : দ্য ফাদার অব নেশন নামের একটি তথ্যচিত্র। একই নির্মাতা জয় বাংলা নামের আরো একটি শর্টফিল্মও নির্মাণ করেছিলেন। এরপর বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু তথ্যচিত্র দেখা গেলেও তথ্য বহুল কোনো তথ্যচিত্র নির্মিত হয়নি এখনো পর্যন্ত।

তবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত বিভিন্ন তথ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুকে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলাদা তথ্যচিত্র নির্মাণ এখন সময়ের দাবী হয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও মুক্তিযুদ্ধ সঠিকভাবে উঠে আসে নি সেলুলয়েডের ফ্রেমে। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তথ্যচিত্র নির্মাণের প্রত্যাশা জানিয়েছেন এ প্রজন্মের বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভারত সরকারের অনুদানে বেশ কিছু শর্টফিল্ম নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সুকদেব এর নাইন মান্থস টু ফ্রিডম, ঋত্ত্বিক ঘটকের দুর্বার গতি পদ্মা, গীতা মেহতার ডেট লাইন বাংলাদেশ এবং দূর্গা প্রসাদের দুরন্ত পদ্মা। এছাড়া জাপানী চলচ্চিত্র নির্মাতা নাগিমা ওশিমা নির্মাণ করেন বাংলাদেশ স্টোরি নামের একটি শর্টফিল্ম।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিলো তিনটি শর্টফিল্ম। এর মধ্যে রয়েছে লিবারেশন ফাইটার্স। এটি পরিচালনা করেন আলমগীর কবির ও বাবুল চৌধুরী। এছাড়া জহির রায়হানের পরিচালনায় এ স্টেট ইজ বর্ন, বাবুল চৌধুরীর পরিচালনা ইনোসেন্ট মিলিয়নস নামে শর্টফিল্ম নির্মিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আলমগীর কবির নির্মাণ করেন কয়েকটি শর্টফিল্ম। যার মধ্যে রয়েছে প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ, টুওয়ার্ড গোল্ডেন বাংলা, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এবং বাংলাদেশ ডায়েরি। এ শর্টফিল্মগুলোতে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরা হয়েছে। এবার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলাদা তথ্যবহুল তথ্যচিত্র নির্মাণের প্রত্যাশা করছেন এ প্রজন্ম। রাইজিংবিডি/ ঢাকা/ ১৪ আগস্ট ২০১৪/ পাভেল