চিত্রনায়ক জসীমের তিন পুত্র—এ কে সামী, এ কে রাতুল ও এ কে রাহুল। বাবার পথ ধরে রূপালি পর্দায় পা না বাড়িয়ে তিন ভাই বেছে নেন সুর ও সংগীতের জগৎ। ছোটবেলাতেই বাবাকে হারানো এই তিন ভাই একে অপরের কাঁধে ভর করেই বড় হয়েছেন।
তবে সেই হৃদয়ের বন্ধনে হঠাৎ ছন্দপতন—রবিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না-ফেরার দেশে চলে গেলেন রাতুল।
ভাইয়ের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছেন রাহুল। আবেগময় এক ফেসবুক পোস্টে তিনি শোক, অভিমান আর ভালোবাসার মিশেলে তুলে ধরেছেন রাতুলকে হারানোর কষ্ট।
রাহুল লিখেছেন, “স্ক্রল করি আর আপনাদের ভালোবাসা দেখি, খালি আমার ভাইটার জন্য। ভেঙে পড়ছি অনেক। আমার ভাইকে নিয়ে অনেক কিছু প্রতিদিন বলব, কেউ কিছু মনে নিয়েন না। ধন্যবাদ আপনাদের। বাঁচিয়ে রাখি আমরা সবাই।”
পোস্টে ধরা দেয় দুই ভাইয়ের বন্ধুত্ব, শৈশবের স্মৃতি, নির্ভরতার গল্প। রাহুল লেখেন, “পৃথিবীতে একটা এ কে রাতুল ছিল, আর আসবেও না এরকম মানুষ কোনোদিন। ভাই রে, আমি প্রতিজ্ঞা করছি—আমি যা করি সেটা করে যাব। তুমি আমার গিটার টোন প্রতি শোয়ের পর গুঁতাইতে চাইতা, এখন কেউ নাই গুঁতানোর। কিন্তু তাও করে যাব তোমার জন্য। উপর থেকে দেখে হাসিটা দিও।”
শুধু সংগীত নয়, ভাইদের সম্পর্কের ভেতরে ছিল সাধারণ শৈশবের আনন্দও। তা স্মরণ করে রাহুল লেখেন, “রেসলিং নিয়ে কী হচ্ছে আপডেট দিবনে, কেমনে দিব জানি না। তোমার জন সিনা বেশি দিন তো রেসলিং করবে না, দেখি কী হয়। বলছিলা জিটিএ-৬ আসলেই প্রি-অর্ডার করতে চাও, মন খারাপ হইছিল যখন পিছিয়ে গেছে। তোমার কনসোলেই ওইটা শেষ করব আমি।”
“আব্বুর সাথে সব স্টোরি শেয়ার কইরো, তিন ভাই মিলে কী আকামগুলা করছি। হালকা ফিল্টার কইরো।” লেখেন রাহুল।
রাতুল ও বড় ভাই সামী মিলে গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড ‘ওন্ড’। ব্যান্ডটির ড্রামার ছিলেন সামী, আর রাতুল ছিলেন ভোকাল ও বেজ গিটারিস্ট। পাশাপাশি তিনি কাজ করতেন একজন শব্দ প্রকৌশলী হিসেবে। ছোট ভাই রাহুল পেশাগতভাবে যুক্ত আছেন ফ্রিল্যান্স সংগীতজগতের সঙ্গে।