বিনোদন

শ্রীদেবীর ফার্মহাউজ নিয়ে আইনি জটিলতায় বনি

প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী। ১৯৮৮ সালে চেন্নাইয়ের ইস্ট কোস্ট রোড সংলগ্ন একটি জমি কেনেন তিনি। পরবর্তীতে যেখানে একটি ফার্মহাউজ তৈরি করেন। আর এই জমি নিয়ে জটিলতায় পড়েছেন শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর। সর্বশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। 

২০০৫ সালের একটি উত্তরাধিকার সনদের ভিত্তিতে তিন ব্যক্তি শ্রীদেবীর কেনা জমির মালিকানা দাবি করেছেন। যদিও বনি কাপুরের দাবি, সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জাল। এ নিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজক বনি কাপুর মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি আবেদন দাখিল করেছেন।  

সোমবার (২৫ আগস্ট) বনি কাপুরের পক্ষ থেকে যে আবেদনপত্র দাখিল করা হয়, তার ভিত্তিতে বিচারপতি এন. আনন্দ ভেঙ্কটেশ স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, যাতে চার সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে সেই ‘প্রতারণামূলক’ উত্তরাধিকার সনদ বাতিলের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। 

মামলার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বনি কাপুর আদালতকে জানান, তার স্ত্রী শ্রীদেবী ১৯৮৮ সালের ১৯ এপ্রিল জমিটি কিনে। সেই সময় থেকে এই সম্পত্তি তাদের পারিবারিক দখলে রয়েছে। পূর্বে জমিটি এমসি সামবান্দা মুদালিয়ার নামে নিবন্ধিত ছিল, যার তিন পুত্র ও দুই কন্যা। ১৯৬০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক সমঝোতার ভিত্তিতে সম্পত্তি ভাগাভাগির একটি চুক্তি করা হয়। সেই চুক্তির ভিত্তিতেই শ্রীদেবী জমিটি কেনেন এবং সব আইন মেনে কেনা হয়।  

জমির দলিলও সেই মর্মে তৈরি করা হয়। সম্প্রতি তিন ব্যক্তি দাবি করছেন, তারা মুদালিয়ারের তিন পুত্রের মধ্যে একজনের দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার দুই সন্তান এবং সেই সূত্রে সম্পত্তির অংশীদার। ২০০৫ সালে তারা স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে একটি উত্তরাধিকার সনদ সংগ্রহ করেন। 

‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ সিনেমার সেটে প্রথম আলাপ শ্রীদেবী-বনি কাপুরের। সেখানে শ্রীদেবীর সারল্য ও ব্যক্তিত্বে বুঁদ হয়েছিলেন বনি। প্রেমে পড়লেও তা শ্রীদেবীকে তখন বলতে পারেননি তিনি। কারণ বনি তখন বিবাহিত; দুটি সন্তানও রয়েছে তার। শ্রীদেবীর বাবা মারা যাওয়ার পর বনি কাপুর তার পাশে দাঁড়ান। শ্রীদেবীর মা যখন অসুস্থ, তখনো। ১৯৯৬ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন শ্রীদেবী-বনি। এ সংসারে জাহ্নবী ও খুশি নামে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৮ সালে মারা যান শ্রীদেবী।