বিনোদন

অপহরণের অভিযোগে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অপহরণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তামিল-মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী লক্ষ্মী মেনন ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কোচির এক যুবক। খবর এনডিটিভির। 

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, কোচিতে একটি বারে বাগবিতণ্ডার পর তাকে অপহরণ ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়। সেই ঘটনায় অভিনেত্রী (লক্ষ্মী মেনন) ও আরো কয়েকজন জড়িত ছিলেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর গাড়ি ধাওয়া করে, তা উত্তর রেলওয়ে ওভারব্রিজের কাছে থামিয়ে তাকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিজেদের গাড়িতে তোলে। এরপর তাকে গাড়ির ভেতরেই মারধর করা হয় এবং পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরনাকুলাম উত্তর থানা পুলিশ মিথুন, অনীশ এবং সোনামোল নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে; তারা এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। 

তবে কেরালা হাইকোর্ট অভিনেত্রী লক্ষ্মী মেননকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বেচু কুরিয়ান থমাস। 

লক্ষ্মী মেনন তার আগাম জামিন আবেদনে অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য করা হয়েছে। 

লক্ষ্মী মেননের দাবি, অভিযোগকারী যুবক ও তার বন্ধুরাই প্রকৃত দোষী। তারা বারের ভেতর তাকে ও তার মেয়ে বন্ধুকে মৌখিক ও শারীরিকভাবে যৌন হেনস্তা করে। তাছাড়াও তারা যখন বার থেকে বেরিয়ে যান, তখন তাদের অনুসরণ করে বিয়ারের বোতল দিয়ে হামলা চালানো হয়। 

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৭(২), ১২৬, ১১৫ (২), ১৪০ (২), ২৯৬, ৩৫১ (২), ৩(৫) ধারায় লক্ষ্মী ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত পুলিশের কাছ থেকে আরো রিপোর্ট চেয়েছেন। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। 

২০১১ সালে মালায়ালাম ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে লক্ষ্মী মেননের। পরের বছরই ‘সুনরাপান্ডিয়ান’ সিনেমার মাধ্যমে তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। একই বছর তামিল ভাষার ‘কুমকি’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।

মূলত, তামিল ভাষার এই দুই সিনেমার মাধ্যমেই খ্যাতি কুড়ান লক্ষ্মী। ‘কুমকি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।