চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘চিটাগাং ইন্টারন্যাশনাল অল উইমেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-২০২৫’। ৪-৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। চট্টগ্রাম আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনব্যাপী এ উৎসব। এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র। এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত।
নারীদের নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নারী নির্মাতাদের অনুপ্রাণিত করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। ফিল্ম ফর আস, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন ফিল্ম ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবে সহযোগিতা করেছে কানেক্টহার। সেরা ফিকশন ও সেরা ডকুমেন্টারি বিভাগে প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র।
প্রথম আসরে প্রতিযোগিতা বিভাগে থাকছে মোট ১৩টি চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ৭টি ফিকশন এবং ৬টি ডকুমেন্টারি। এছাড়া প্রদর্শিত হবে ১২টি ফিলিস্তিনি চলচ্চিত্র এবং কানেক্টহার থেকে নির্বাচিত আরো ১৫টি সিনেমা।
৪ সেপ্টেম্বর, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং প্রতিযোগিতা বিভাগে মনোনীত চলচ্চিত্র প্রদর্শন। ৫ সেপ্টেম্বর, ফিলিস্তিনের নারী নির্মাতাদের নির্মিত ১২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন; ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের সঙ্গে সংহতি প্রকাশই এই আয়োজনের লক্ষ্য। ৬ সেপ্টেম্বর, কানেক্টহারের নির্বাচিত ১৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন। একই দিনে প্রতিযোগিতা বিভাগের পুরস্কার ঘোষণা ও বিতরণ শেষে সমাপনী অনুষ্ঠান।
উৎসব পরিচালক মাসউদুর রহমান বলেন, “উদ্বোধনী আয়োজনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। পাঁচটি দেশের নারী নির্মাতারা যুক্ত হয়েছেন এই প্রথম আসরে। নারী নির্মাতাদের গল্পে যে দৃঢ়তা, সংগ্রাম ও আশার প্রতিফলন ঘটে, দর্শকদের আমরা সেটিই দেখাতে চাই।”
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “বাংলাদেশে এমন একটি উৎসব আয়োজন হচ্ছে দেখে আনন্দিত। এটি নারী নির্মাতাদের কাজগুলোকে সামনে নিয়ে আসবে, তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।”
ফিল্ম ফর আস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং উৎসবের সহ-আয়োজক সাদিয়া আফরিন বলেন, “আমরা এই উৎসবে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোকে কেবল সিনেমা হিসেবে দেখছি না; এগুলো নারীদের টিকে থাকার অভিজ্ঞতা, সমাজ ব্যবস্থার প্রতিফলন এবং নারীদের সাহসী মত প্রকাশের মাধ্যম।”
এইউডব্লিউ ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি এবং সহ-আয়োজক সুমাইয়া বুশরা যোগ করেন, “এই উৎসবের মাধ্যমে নারী নির্মাতাদের জন্য আমরা নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করতে চাই।”
ফিলিস্তিনি নারী নির্মাতাদের নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন এই উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ। সেখানে উঠে আসবে ইসরায়েলি দখলদারি, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ এবং মানবিক টানাপড়েনের চিত্র।
দেশ-বিদেশি নির্মাতাদের এসব কাজ কেবল শিল্পকর্ম নয়, বরং সময় ও সমাজের দলিল হয়ে দর্শকদের নতুন ভাবনায় আহ্বান জানাবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই আয়োজন।