বিনোদন

এলো গানের ফাগুন

শাহ মতিন টিপু : এলো গানের ফাগুন। মৌ মৌ গন্ধ আর বাহারি প্রকৃতি নিয়েই ফাগুন আসে। তার সাথে বয়ে যাওয়া মাতাল হাওয়া নাড়া দিয়ে যায় মনের সূক্ষ্ম তন্ত্রীতে..। মন হয়ে ওঠে উন্মন। ফলে ঠোঁটের দেয়াল ফুড়ে মনের গহীন থেকে গুন গুন করে বেরিয়ে আসে গান। ফাগুনের প্রথম দিনে যেমনÑ ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত, তেমনি চেতনে হোক অবচেতনে হোক আজ গানেরও দিন। কথায় আছে, শরীরের রং বুড়িয়ে যায় কিন্তু মনের রং ফুরিয়ে যায় না।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরআহা আজি এ বসন্তেকত ফুল ফোটে কত বাঁশি বাজেকত পাখি গায়..কিংবা`ফুলের বনে যার পাশে যাইতারেই লাগে ভালো..`কিংবা কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়`এলো খুনমাখা তূণ নিয়েখুনেরা ফাগুন..।`কিংবা শাহ আবদুল করিমের‘বসন্ত— বাতাসে..সই গোবসন্ত বাতাসেবন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধআমার বাড়ি আসে...।`এমন যে গানই হোক, ঠোঁটের সীমান্ত অতিক্রম করতে চাইতেই পারে আজ। কারণ বসন্তের প্রথম দিনটিই যে আজ। গণজাগরণের মঞ্চেও আজ থাকবে বসন্তের গান, বসন্তের রং। তবে সেই গানে দোলাও থাকবে, প্রতিবাদও থাকবে।তারুণ্যের প্রতীক বসন্ত। বসন্তের এমন দিন কি মোটেও হেলাফেলার। বন-বনান্তে কাননে কাননে রঙের কোলাহল, পাতায় পাতায় আলোর নাচন- নয় মোটেই উপেক্ষার! কবিও যেখানে বলে ফেলেন- ‘সে কি আমায় নেবে চিনে এই নব ফাল্গুনের দিনে?’আবার কেউ বলেন, বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। বসন্ত মানেই একে অপরের হাত ধরে হাঁটা। মিলনের এ ঋতু বাসন্তী রঙে সাজায় মনকে, মানুষকে করে আনমনা।জাদুকরী স্পর্শে জেগে উঠা বনবনানী কিংবা পলাশ-শিমুলের ডালে ডালে আগুন রঙের খেলা - এসবকি একেবারেই অর্থহীণ? বসন্তে সাজ সাজ রবে উচাটন হতেই পারে মন। গুন গুন করে গেয়ে উঠতেই পাওে যে কেউ -‘মনেতে ফাগুন এলো..’।বসন্ত তারুণ্যেরই ঋতু। তাই কবিও বলে ফেলেন অকপটে- ‘বসন্ত ছুঁয়েছে আমাকে। ঘুমন্ত মন তাই জেগেছে, পয়লা ফাল্গুন আনন্দের দিনে’।