উদ্যোক্তা/ই-কমার্স

সংসারের হাল ধরতে ১১ বছরের শিশুর মাস্ক বিক্রি 

রায়হান হোসেন, বয়স ১১। পড়ালেখা করে রাজধানী ঢাকার একটি স্কুলে। দেখলে মনে হবে এই ছোট্ট বয়সে সবসময় কী যেন ভাবে সে।

করোনা ভাইরাসের প্রকোপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে গত ১৭ মার্চ থেকে। তাই ছোট রায়হানের স্কুলে যাওয়া হয় না গত ৬ মাস ধরে। এ সঙ্কটকালীন সময়ে পরিবারের হাল ধরেছে সে। 

বয়সে ছোট হলেও পরিবারের ঘানি অনেকটা তার কাঁধেই। তাই বাধ্য হয়েই সে রাস্তার ফুটপাতে বসেছে মাস্ক, স্যাভলন, হেক্সিসল বিক্রি করতে।

রায়হানের সঙ্গে দেখা হয় ঢাকার ধানমণ্ডি-৩২ এর ঠিক উল্টো পাশে অবস্থিত নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের সামনে। প্রচণ্ড রোদে ছাতা মাথায় দিয়েই বসেছিল ক্রেতার আশায়। 

কথা বলে জানা যায়, রায়হানের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। কলেজের পাশেই একটি ভাড়া ঘরে পরিবারের সঙ্গে থাকে সে। 

রায়হান হোসেন বলে, ‘বাবা বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারে না, তাই তাকে সাহায্য করার জন্য আমি এখানে বসি। আগে ভালোই বেচা-কেনা হইতো। কিন্তু এখন একেবারেই কমে গেছে। মাস্ক কিনতে চায় না মানুষজন।’ 

প্রতিদিন কেমন বিক্রি হয়, জানতে চাইলে রায়হান বলে, ‘আগে প্রতিদিন হাজার টাকা বিক্রি হইতো। কিন্তু এখন চার-পাঁচশ টাকা বিক্রি হয়।’ 

করোনাকালে রায়হানের মতো অনেক শিশুই পরিবারকে সাহায্য করতে নেমেছে জীবনযুদ্ধে। করোনা মোকাবিলা করে এই শিশুদের মুখে ফুটুক হাসি, মুছে যাক গ্লানি এমনটাই প্রত্যাশা। 

লেখক: সাবেক শিক্ষার্থী, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, তেজগাঁও। 

ঢাকা/মাহি