উদ্যোক্তা/ই-কমার্স

হাসির ভিডিও বানিয়ে আয় করছেন শিশির 

ফেসবুকের ‘ওয়াচ ভিডিও’তে সম্প্রতি তরুণরা আপলোড করছে নানা ধরনের ভিডিও৷ তবে এ ধারায় সবচেয়ে এগিয়ে যারা কৌতুক বিষয়ে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করছে, আপ দিচ্ছে। এদের মধ্যে অন্যতম ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং রিসার্চের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাঈদুর রহমান শিশির।

তিনি লকডাউনের পর থেকেই নিজের পেজ ‘হেই ব্রো ক্লাব’-এ হাস্যরস সমৃদ্ধ ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে আপলোড করছেন। 

ইতোমধ্যে এসব ভিডিও তৈরি করে দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করা শিশির রহমান পৌঁছে গেছেন লক্ষাধিক নেটিজেনের কাছে। ইংরেজি না পড়ে পরীক্ষায় কীভাবে ভালো করা যায়, আসুন আমরা লুঙ্গিকে হ্যাঁ বলি, পরীক্ষার আগের দিন না পড়ে কীভাবে পরীক্ষায় ভালো করা যায়, কীভাবে ২ মিনিটে লুঙ্গি পরতে হয়, গানের কলি যুদ্ধ পার্ট-১ সহ তার বিভিন্ন ভিডিও দর্শকপ্রিয়তা পাচ্ছে। 

স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ফেলে আসা অতীতকে মজাদার উপস্থাপনার মধ্যে দিয়ে স্মৃতিবেদনাতুর করছে মধ্যবয়স্ক দর্শকদের। সচরাচর যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয়তা পরখ করার একটা উপায় হলো ভিউস বা সংখ্যা। শিশির রহমানের ‘হেই ব্রো ক্লাব’ পেজের গত ৬ মাসে ভিউস সংখ্যা ছিল ৭৬ লক্ষের অধিক এবং ভিজিটর ট্রাফিক ছিল ১ কোটির অধিক। 

শেষ তৈরি ভিডিও ‘গানের কলি যুদ্ধ পার্ট-১’-এ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ৭টি চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেন এই উঠতি কমেডিয়ান। শিশির রহমান বেড়ে উঠেছেন পদ্মা-মেঘনার গা ঘেঁষা ফরিদপুরে। নিজ জেলার সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়েছেন। 

বর্তমানে পোশাক শিল্পে প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। কন্টেন্ট তৈরি নিয়ে জানতে চাইলে শিশির রহমান ক্ষাণিকটা স্মৃতিবেদনাতুর হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বন্ধুর সংখ্যা কম ছিল। দুঃসময়গুলো কাটিয়েছি নিজের মতো করে। অনেক কষ্টের মাঝেও সুখ ছিল একটাই, নিজের সাথে কথা বলতে পারতাম। আর এই গুণটাই একদিন জনপ্রিয় কন্টেন্ট প্রস্তুতকারকদের একজন করে তুলবে তা কল্পনায়ও ছিল না। দিন শেষে যাই হই, সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞ।’ 

সরলমনা শিশির রহমানের একান্ত ইচ্ছা মানসম্মত কন্টেন্ট প্রস্তুতকারক হওয়ার পাশাপাশি সফল ব্যবসায়ী হওয়া। জীবনের লক্ষ্য নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘সারাজীবন সততার সাথে কাজ করে স্বাবলম্বী হয়ে মা-বাবার মুখে হাসি ফোটানো৷’ 

সাম্প্রতিক সময়ে শিশির রহমান একটা অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিজ্ঞাপন করছেন, আয়ও হচ্ছে ভালো। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বড় হাউসগুলোতে কাজ করার ইচ্ছে নিয়ে নিজেকে নতুনভাবে গ্রুমিং করা ও যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে চেষ্টা করছেন।

লেখক: শিক্ষার্থী, ভেটেরিনারি বিভাগ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়। 

গবি/মাহি