উদ্যোক্তা/ই-কমার্স

‘কন্যাসুন্দরী’র মিটআপে গায়ে হলুদের বউ 

ক্রেতা-বিক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে ফেসবুক পেজ ‘কন্যাসুন্দরী’ আয়োজন করেছিল ‘কাস্টমার মিটআপ ২০২০’।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ‘ক্লাবমিক্স’ রেস্তোরাঁয় এ মিটআপ হয়।

এতে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি রাজিব আহমেদসহ ক্রেতা ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্পন্সর করেছে অনলাইনে নারীদের হিজাব এবং চা পাতা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ‘আবায়া স্টোরি’ ও ‘চায়ের চুমুকে’।

মিটআপে প্রাধান্য পেয়েছে আয়োজক মনিকা আহমেদের নিজের ডিজাইন করা দেশীয় তাঁতের শাড়ি ও বিসকসড শালের ব্যবহার। দেশি পণ্যের প্রচারে কন্যাসুন্দরীর ৩২টি শাল নিয়ে ছবি তোলার মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের মতবিনিময় করেন। এছাড়াও ছিল দেশি পণ্যে সজ্জিত গায়ে হলুদের মডেল বউ (জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি), যিনি দেশীয় পণ্যে দেশের সংস্কৃতিকে প্রদর্শন করেছেন। ৮০ জনেরও অধিক সদস্য নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সরাসরি কথা বলতে পেরে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই খুশি।

‘বৃত্তকথন’ পেজের স্বত্বাধিকারী ও ক্রেতা তিথি বলেন, ‘‘আমি মনিকা আপুর রিপিট কাস্টমার। আপুর কন্যাসুন্দরীর শাড়ির কালেকশন সুন্দর ও ইউনিক ডিজাইনে সমৃদ্ধ। শাড়ির কোয়ালিটিও ভালো। তাঁতের শাড়িতে গায়ে হলুদের বউ, অসাধারণ একটা আইডিয়া। মনিকা আপুর করা ডিজাইনের শাড়িতে আমি মিটআপে বউ সাজি। বউ সাজার পেছনে মূল কারণ ছিল দেশীয় শাড়িকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা ও মানুষের কাছে দেশীয় পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো। যেহেতু আমি নিজেও টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে কাজ করছি, আমি চাই দেশীয় শাড়ির প্রসার ও প্রচার বৃদ্ধি হোক। 

রাজীব স্যার সবসময়ই বলতেন ই-কমার্সে আমরা যারা দেশি পণ্য নিয়ে কাজ করছি, তারা একে-অন্যের প্রতি সহযোগিতামূলক আচরণ রাখতে। কারণ ই-কমার্স একটা বিশাল প্ল্যাটফর্ম, এখানে কারো পক্ষে একা কাজ করা সম্ভব নয়।’’  

ঢাকা/মাহি