উদ্যোক্তা/ই-কমার্স

দইওয়ালার দ্বিতীয় কাস্টমার মিট-আপ অনুষ্ঠিত

মোহাম্মদপুরে দ্বিতীয় বারের মতো ফেসবুক পেজ ‘দইওয়ালা’ আয়োজন করেছিল ‘কাস্টমার মিলন মেলা ২০২১’।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) দিনব্যাপী রাজধানীর ‘ক্লাব মিক্স’ রেস্তোরাঁয় মেলাটি হয়। এতে স্পন্সর করেছে ফেসবুক পেজ টেস্টবিডি, নুরমা ও তিস্তা শাড়ি’র স্বত্বাধিকারী সালমা নেহা, শেখ তাসলিমা পারভিন ও নুসরাত জাহান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সাবেক প্রতিষ্ঠাতা ও উই (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স) ফোরামের উপদেষ্টা রাজিব আহমেদ। আরো ছিলেন দইওয়ালা পেজের ক্রেতা ও উদ্যোক্তারা।

মিটাআপের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দইওয়ালা পেজের ক্রেতাদের কথা শোনা ও তাদের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া। পুরো অনুষ্ঠানটি সাজানো ছিল দেশি পণ্যের সমারোহে। এতে দেশি পণ্যের ফেসবুক পেজ ‘কন্যাসুন্দরী’র শাড়িতে গায়ে হলুদের বউ সেজেছিলেন তারমিনা নাজির শারমিন। গায়ে হলুদের বউ, সামনে দইওয়ালা পেজের বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টান্ন পণ্য। এ যেন সম্পূর্ণ বাঙালি বিয়ের আয়োজনের থিমে সাজানো কাস্টমার মিট-আপ।

শতাধিক কাস্টমার আর দেশি পণ্যের তিনটি স্টলে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত ছিল। এতে স্টল প্রদানকারী সালমা নেহার শীতের চাদর, নুসরাত জাহানের মাদুর ও লায়লা পারভিন শান্তার হাতে বানানো গহনার বিক্রি ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও ই-কমার্স ব্যবসার নানা দিক নিয়ে রাজিব আহমেদ মিটা-আপে উপস্থিত উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন।  

ফেসবুক পেজ ‘টেস্টবিডি’র স্বত্বাধিকারী সালমা নেহা বলেন, ‘আমি দইওয়ালা পেজের রিপিট কাস্টমার। আর আজ দইওয়ালার কাস্টমার মিটাপে জয়েন করতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। নাজির ভাইয়ের পণ্য ও সার্ভিস নিয়ে আমি সবসময় শতভাগ সন্তুষ্ট। আজকের মিট-আপে আমার নিজের সটলে ৩০টি শাল বিক্রি করতে পেরেছি।’   

কাওলা থেকে আসা ক্রেতা ইশরাত জাহান চাঁদনী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবার সঙ্গে পরিচয় থাকলেও সামনা-সামনি কারো সঙ্গে দেখা হয়ে উঠেনি। কাস্টমার মিট-আপের মাধ্যমেই সবার সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ হয়েছে। এতে ক্রেতার সঙ্গে বিক্রেতার সুসম্পর্ক আর পারস্পরিক মতামতের পাশাপাশি পণ্য নিয়েও জানাতে পেরেছে। দইওয়ালার পণ্য নিয়ে এক কথায় বলব, আমি শতভাগ সন্তুষ্ট। যেকোনো উৎসব পার্বণে অথবা অতিথি আপ্যায়ন দইওয়ালা ভাইয়ের দই, মিষ্টি, সন্দেশ উৎসবের আমেজ আরো বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আমার কাছে মনে হয়।’   

আয়োজক নাজির উদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য উপস্থিত সবার সঙ্গে আমাদের মাঝে নতুন সম্পর্ক সৃষ্টি করা। কারণ এত দিন আমরা অনলাইনে পরিচিত ছিলাম। আজকে সরাসরি একে-অপরের সঙ্গে প্রাণ খুলে গল্প, আড্ডা দিতে পারবো ও মতামত শেয়ার করতে পারছি।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমরা সবাই সচেতন। তাই পণ্যের গুণগত মান, কমিটমেন্ট সেলস আফটার সার্ভিস দেখে অনলাইনে কেনাকাটা করা উচিত। শুধু দাম কম দেখে পণ্য না কেনাই উত্তম।’’