উদ্যোক্তা/ই-কমার্স

ফারহানা’স ড্রিমের কাস্টমার মিট-আপে ‘মেহেদি বউ’ 

ফেসবুক পেজ ফারহানা’স ড্রিম আয়োজন করেছিল কাস্টমার মিট-আপ ‘এসো মিলি প্রাণের ধারায়’। এতে প্রধান আকর্ষণ ছিল ‘মেহেদি বউ’।  

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দিনব্যাপী রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ‘ক্লাব মিক্স’ রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠানটি হয়। বাংলাদেশের ঐতিহ্য নকশীকাঁথা পণ্যের ক্রেতাদের নিয়েই মূলত এই মিট-আপ হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সাবেক প্রতিষ্ঠাতা ও উই (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স) ফোরামের উপদেষ্টা রাজিব আহমেদ ও উইর ডিরেক্টর সামিয়া ফারাহ। আরো ছিলেন কাকলী’স অ্যাটিয়ার, আরিয়াস কালেকশন ও কায়ান’স রূপবতীর স্বত্বাধিকারী কাকলী রাসেল তালুকদার, নিগার ফাতেমা ও মুমতাহিনা রহমান কেয়া।

অভিনব উপায়ে ক্রেতাদের সঙ্গে এমন আড্ডার উদ্দেশ্য ছিল নকশীকাঁথার মতো পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে জানা। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল ‘ফারহানা’স ড্রিম’ পেজের এক বছর পূর্তি ও ওয়েবসাইট উন্মোচন করা। এখন থেকে ক্রেতারা শুধু ফেসবুক পেজ নয় ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও পণ্য কিনতে পারবেন।

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি সাজানো ছিল দেশীয় নকশীর ছোঁয়ায়। এতে দেশি পণ্য ও হাতের কাজের শাড়িতে মডেল হিসেবে মেহেদি বউ সেজেছিলেন ‘ড্রিম গার্ল’ পেজের স্বত্বাধিকারী অ্যানি হাসান। উপস্থিত ক্রেতারা নিশাত খানের মেহেদি আর্টে উৎফুল্ল ছিলেন। এ যেন সম্পূর্ণ বাঙালি বিয়ের মেহেদি উৎসবের সাজ সাজ রব।

একশ’র মতো কাস্টমার আর দেশি পণ্যের তিনটি স্টলে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত ছিল। এতে দেশি পণ্যের স্টল প্রদানকারী উদ্যোক্তা ছিলেন আয়শা সিদ্দিকা শিউলি, সায়মা ও আইরিন আক্তার রিতা। প্রত্যেকেরই প্রায় ১০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও মিট-আপে বাংলাদেশের সব জেলার নকশীকাঁথা নিয়ে ছিল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা।  

এসময় রাজীব আহমেদ বলেন, “উদ্যোক্তাদের জন্য পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি নিজের পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং বাড়াতে হবে। ফেসবুক এখন পেজের পাশাপাশি গ্রুপকে গুরুত্ব দিচ্ছে, সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার বলে আমি মনে করি।’’

সুদুর অস্ট্রেলিয়া থেকে ক্রেতা জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণা ভিডিও বার্তায় বলেন, “ফারহানা লাকী আপু আজকে যে মিটা-আপ আয়োজন করেছে, সেখানে আমি উপস্থিত হতে পারিনি। কিন্ত আমি আমন্ত্রণ ঠিকই পেয়েছি। এজন্য আমি আনন্দিত। ‘ফারহানা’স ড্রিম’-এর পেজের পণ্যের গুণগত মান অনেক ভালো। আমি খুব খুশি যে এত দূরে বসেও এমন ভালো মানের পণ্য লাকি আপুর মাধ্যমে পাচ্ছি।’’

আয়োজক ফারহানা লাকী বলেন, “আজ না হয় কাল কিংবা পরশু দিন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের অন্যতম ব্র্যান্ডিং হবে নকশীকাঁথা। এই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’’