উদ্যোক্তা/ই-কমার্স

পাহাড়ি এলাকার জুম চাষে উৎপাদিত ফসলে উদ্যোক্তা সুমি

বান্দরবান জেলার ২ নং কুহালং ইউনিয়নের পল্লীগ্রামে সুমি আক্তারের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বর্তমানে বান্দরবান সরকারি কলেজে স্নাতক ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত সুমি। জন্মস্থানেই বসবাস তার।

পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো কিছু করার অদম্য ইচ্ছা থাকলেও তা হয়ে ওঠেনি সুমির। পরিবারের সাত ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট সুমি চেস্টা করেছেন সবসময় নিজে স্বাবলম্বী হতে। করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সুযোগটা পেয়ে আর হাতছাড়া করেননি সুমি। অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা নির্ভর ফেসবুক গ্রুপ উইর (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম) সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশার অনুপ্রেরণা এবং ইক্যাবের (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সাবেক সভাপতির দিক নির্দেশনায় তিনি হয়ে ঊঠেছেন ই-কমার্স উদ্যোক্তা।

বর্তমানে অনলাইনে ফেসবুক পেজ ‘Pahari Kunjha-পাহাড়ি কুঞ্জ’র মাধ্যমে বান্দরবান জেলার পাহাড়ে চাষকৃত খাবার ও পোশাক-এর ব্যবসা করছেন। জুম চাষের কালো বিন্নি চাল, লাল বিন্নি চাল, সাদা বিন্নি চাল, রাজমা, পিঠা এবং বিভিন্ন ধরনের হ্যান্টপেইন্ট পোশাকই তার পেজের উল্লেখযোগ্য পণ্য ।

সুমি আক্তার বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় জুম চাষে কীটনাশক একদম ব্যবহার করা হয়না বললেই চলে। যার কারণে এর পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে।ভেজালের মাঝে পুষ্টিকর এবং রোগ প্রতিরোধী শস্য সকলের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমার এই উদ্যোগ নেওয়া। পার্বত্য এলাকা থেকে এমন পণ্য নিয়ে ব্যবসা করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। কারণ, পণ্যের দামের চেয়ে চার্জটা বেশি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ক্রেতার ঠিকানা দেওয়ার পরে দামের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু সবকিছুর মাঝেও নিজের ব্যবসা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’

শিক্ষার্থী অবস্থায় একবছরের উদ্যোক্তা জীবনে সফলতা বলতে তার পেজের পণ্যের রিপিট ক্রেতা। ক্রেতাদের কাছে খাঁটি পণ্য পৌঁছে দেওয়াই তার মূল লক্ষ্য। কেননা ক্রেতা সন্তুষ্ট থাকলেই তার উদ্যোগের সফলতা, এমনটিই মনে করেন সুমি।

 

লেখক: স্বত্ত্বাধিকারী, এস এস এগ্রো প্রোডাক্ট, জেলা প্রতিনিধি উই (রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) এবং জেলা কন্ট্রিবিউটর লেখক, উদ্যোক্তা/ ই-কমার্স পাতা, রাইজিংবিডি ডটকম।