পরিবেশ

‘নদী দূষণ-দখলে দায়ি কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান’

নিজস্ব প্রতিদেবক : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘দেশে আইন আছে, আদালতের নির্দেশনা আছে। তবে আইনকে শ্রদ্ধা না করে গুটি কয়েক ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠান নদী দূষণ ও দখল করছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সম্মিলিত ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। শনিবার বুড়িগঙ্গা রিভারকিপার আয়োজিত ওয়াটারকিপার সুইমেবল ওয়াটার ওয়িকেন্ড ২০১৪ উৎযাপন উপলক্ষে ‘দূষণমুক্ত ও সারা বছর সাঁতার উপযোগী বুড়িগঙ্গা চাই’ শীর্ষক নাগরিক সমাবেশ ও গণসাঁতারের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বসিলা পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘাটে এর আয়োজন করা হয়।সুলতানা কামাল বলেন, ‘নদী পাড়ের সকল মানুষই নদীর রক্ষক তথা রিভার কিপার হিসেবে কাজ করবে। আমরা সবাই মিলে আমাদের নদী বাঁচাব। দুষণমুক্ত রাখব, সারা বছর সাঁতার উপযোগী রাখব। কারণ নদী না বাঁচলে নগর, সভ্যতা জীবন কিছুই বাঁচবে না।’ সে সময় তত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সন্তানেরা এখন কম্পিউটারে নদী দেখে। সুইমিংপুলে সাঁতার শেখে। যা মনে ভীষণ কষ্ট দেয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নদীর নাব্যতা রক্ষার যে নির্দেশ দিয়েছেন তার দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’‘বেলা’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বুড়িগঙ্গার সীমানা পিলার দেখে মনে হল নদীর পাড় আর নেই। অনেক পিলারই স্থাপন করা হয়েছে নদীর মধ্যে। নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার রাজনৈতিক সদিচ্ছারও ঘাটতি আছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে জনমুখী করতে নদীপাড়ের মানুষেরা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারেন।’ উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৩টি সংগঠন এতে সংহতি জানায়। সংগঠনগুলো হলো: বছিলা ইউনাইটেড ক্লাব, বাপা, বেলা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, গ্রিন ভয়েস, আঁচল ট্রাস্ট, সবুজ পাতা, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, হিমু পরিবহন, পরিবর্তন চাই, এনডিএফ, ফ্রেন্ডস অব রিভার্স এবং গ্রিন ম্যাগাজিন। গণসাঁতারে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে বছিলার শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ জুলাই ২০১৪/মামুন/সনি