ফাগুনের মলাট

‘হরিচরণের কাছে বাঙালির অশেষ ঋণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বাঙালির সমষ্টিগত ঋণ অশেষ। তারই প্রদর্শিত পথে বাংলা একাডেমি ষাটের দশকে মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সম্পাদনায় ‘‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’’ থেকে সম্প্রতি গোলাম মুরশিদের সম্পাদনায় ‘‘বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’’প্রণয়ন ও প্রকাশের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে।’ ‘হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার অভিধান : দেড়শতম জন্মবর্ষে স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচকরা এসব কথা বলেন। সোমবার বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে এ অনুষ্ঠান হয়। আলোচকরা আরো বলেন, একাডেমি এসব অভিধানকে সম্পূর্ণ আর হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিলে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেড়শতম জন্মবছরের এই আলোচনা তাৎপর্যপূর্ণ হবে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. স্বরোচিষ সরকার। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক আহমদ কবির, অধ্যাপক মহাম্মদ দানীউল হক ও হাকিম আরিফ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. গোলাম মুরশিদ। প্রাবন্ধিক বলেন, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসামান্য কীর্তি বঙ্গীয় শব্দকোষ। তিনি বাংলাদেশ অঞ্চলের লিখিত শব্দভাণ্ডারকে ধারণ করার চেষ্টা করেছেন। তার সংকলিত সংস্কৃত শব্দও বঙ্গীয়, অসংস্কৃত শব্দও বঙ্গীয়। বঙ্গদেশে প্রচলিত এবং লিখিতরূপে প্রাপ্ত যাবতীয় শব্দ নিয়ে তিনি অভিধান রচনা করতে চেয়েছিলেন। সফলতার সঙ্গে তা তিনি সম্পন্নও করেছেন। এটাই তার কীর্তি। এই কীর্তির জন্য তিনি বঙ্গবাসীর নিকট কৃতজ্ঞতাভাজন। যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে, বাংলা ভাষা ব্যবহারকারীদের কাছে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিধান ততদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সভাপতির বক্তব্যে ড. গোলাম মুরশিদ বলেন, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মরণের তাৎপর্য অপরিসীম। তার অভিধান-অন্বেষা যেমন বঙ্গীয় শব্দকোষের মতো মহার্ঘ্য অভিধান আমাদের উপহার দিয়েছে, তেমনি উত্তরকালের গবেষকদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা রেখে গেছে। গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সুজিত মোস্তফা, ইয়াসমিন মুশতারী এবং এ কে এম শহীদ কবীর পলাশ। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার (তবলা), বিদ্যুৎ রায় (প্যাড), সুনীর কুমার সরকার (কী-বোর্ড) এবং ফিরোজ খান (সেতার)। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/সাওন/রফিক