ফাগুনের মলাট

‘রাঙাতে চাই শিশুদের স্বপ্নরাজ্য’

নিজস্ব প্রতিবেদক : লেখক হবেন- এমন স্বপ্ন বা ভাবনা কখনই ছিল না ছোটবেলায়। বড়বেলা আসতে আসতে পরিচিত হয়ে গেছেন রম্যলেখক হিসেবে। ছোটবেলার রঙিন সময়গুলো নিয়ে ভাবেন এখন। তাই লিখছেন শিশুতোষ গল্প; রাঙিয়ে তুলছেন ছোটদের স্বপ্নরাজ্য। এবার মেলায় শুধু শিশুদের জন্য বই লেখা প্রসঙ্গে খায়রুল বাবুই বলেন, ‘একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার আয়োজনে বেশ কয়েকবার লেখক কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। শিশু-কিশোরদের মনোজগত বিশ্লেষণ, তাদের ভাবনারাজ্যের অলিগলি চেনার চেষ্টা করেছি। আমাদের শিশু-কিশোরদের পাঠ্যবইয়েও গল্প থাকে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, সেগুলোতে দৃশ্যকল্পের বড় অভাব। আশার কথা, গত কয়েক বছর ধরে শিশুদের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকাশনী পিকচার-বুক প্রকাশ করছে। এতে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে শিশুদের। এক গল্পে এক বই-অন্যান্য দেশের এই ধারণাটাও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে আমাদের দেশে।’ পত্রিকার বিভিন্ন ফিচার পাতায় লেখালেখির মাধ্যমে শুরু। তারপর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত লিখছেন গল্প-ছড়া। প্রতি বছর বইমেলায় শিশুদের জন্য শত শত বই প্রকাশ হলেও মানসম্মত বইয়ের অভাব রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, এজন্য শুধু লেখকের প্রতি অভিযোগ তোলা ঠিক নয়। লেখক-শিল্পী-প্রকাশক- সবার চিন্তাকে সমন্বয় করে এবং সময় নিয়ে শিশুদের উপযোগী বই প্রকাশ করা উচিত। এবারের মেলায় খায়রুল বাবুইয়ের মোট চারটি শিশুতোষ বই প্রকাশিত হয়েছে। ইকরিমিকরি প্রকাশনী থেকে অদ ভূত বদ ভূত, শৈশব প্রকাশ থেকে স্কুল যেতে ভয় নেই ও বুদ্ধির জোর এবং বাবুই থেকে ঠক ঠক। এ ছাড়া টোকা এবং ফান-ই-গল্প নামে দুটি রম্যগল্প সংকলন পাওয়া যাবে যথাক্রমে ভাষাচিত্র ও ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্টলে। শিশুদের জন্য লেখার প্রস্তুতি কী থাকা দরকার- জানতে চাইলে খায়রুল বাবুই বলেন, ‘থাকতে হবে প্রকৃতির কাছাকাছি। ভাবতে হবে সীমানা ছাড়িয়ে। কল্পনার কোনো সীমারেখা টানা উচিত নয়। বারান্দায় টবে লাগানো গাছের পাতা, ঘুলঘুলিতে বাসা বাধা চড়–ই, মাঠের সবুজ ঘাস, নীল ফুল কিংবা আকাশে ভেসে যাওয়া মেঘ দেখেও গল্প বানানো যায়।’ বইমেলায় খায়রুল বাবুইয়ের ৪টি বই হলো- ঠক ঠক, এর প্রকাশক বাবুই। অদ ভূত বদ ভূত এটি প্রকাশ করেছে ইকরিমিকরি। বুদ্ধির জোর প্রকাশ করেছে শৈশব। স্কুল যেতে ভয় নেই প্রকাশ করেছে শৈশব। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/সাইফ