ফাগুনের মলাট

বাড়তি সময়ে প্রাণোচ্ছল বইমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : অমর একুশে বইমেলার শেষদিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। নানাদিক বিবেচনা করে মেলার দুই দিন সময় বাড়ায় আয়োজকরা। এই দুই দিন সরকারি ছুটির দিন। তাই ছুটির দিন হিসেবে যথা নিয়মে মেলা শুরু হয় আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় শিশু প্রহরের মধ্য দিয়ে। সকাল থেকেই শিশুদের সরব উপস্থিতি মেলা হয়ে উঠে প্রাণোচ্ছল। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অভিভাবকরাও। যাত্রাবাড়ী থেকে দুই সন্তান শারমিন ও শাহেলাকে নিয়ে মেলায় আসেন চাকরিজীবী মো. রাশেদ। বাবার সঙ্গে শিশু চত্বরে সিসিমপুরের ইকরি, হালুমের পরিবেশনাও উপভোগ করলো তারা। কিনল পছন্দের কিছু বইও। বেসরকারি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ও তানিয়া রহমান। ব্যস্ততার কারণে এ বছর মেলায় আসা হয়নি। সময় বাড়ায় আর ছুটির দিন হওয়ায় বেটে বলে মিলল প্রাণের মেলায় আসার সুযোগ। ছোট্ট শিশু সামিয়াকে নিয়ে এলেন কোলে করে। নিজেদের পছন্দের কিছু বই কিনলেন। বললেন সময় না বাড়লে এবারের মেলায় না আসার আক্ষেপ থেকে যেত। কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ৷ শুক্রবার ছুটির দিনে গ্রন্থমেলার শিশুপ্রহরে শিশু-অভিভাবকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। বেলা ১১টার পর গ্রন্থমেলার দ্বার উন্মুক্ত করা হলে শিশুরা পছন্দের বই কিনতে বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলায় আসতে শুর করে। শিশু চত্বরের স্টল ঘুরে ঘুরে নিচ্ছে গল্প, ছড়া ও কবিতার বই। সকাল থেকে গ্রন্থমেলার উভয় প্রাঙ্গণেই বইপ্রেমীদের কম বেশি পদচারণা ছিল। বিকেলে বড়দের ভিড় ও বেচাকেনা আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রকাশকরা।

       

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ মার্চ ২০১৯/ইয়ামিন/সাইফ