ফাগুনের মলাট

প্রথম মৃত‌্যুবার্ষিকীতে আল মাহমুদের অপ্রকাশিত মহাকাব্য

সোনালি কাবিন খ্যাত কবি আল মাহমুদ স্মৃতি হয়ে যাবার বর্ষপূর্তি আজ শনিবার। সাহিত্যে নিজের অমরতা নিশ্চিত করে তিনি বিদায় নিয়েছেন ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

বসন্ত-ভালোবাসার আবেশ গায়ে মেখে, বইমেলার নতুন বইয়ের গন্ধ গায়ে মেখে তিনি আর কখনো আসবেন না লোকালয়ে, অমর একুশে বইমেলায়। আসবেন না সৌম্য দৃষ্টি নিয়ে। আল মাহমুদ প্রাণহীন হলেও নিজ কীর্তির কারণে প্রাণে প্রাণে ছড়িয়ে আছেন। প্রভাতফেরী, আঁধ ফালি চাঁদ, নারী, নিসর্গ, ফুল-পাখি বা খড়ের গম্বুজের আড়ালে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে তাঁকে। আর খুঁজলেই পাওয়া যাবে তাঁর নতুন পাঁচটি বই।

কবি আল মাহমুদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর রচিত মহাকাব্য ‘এ গল্পের শেষ নেই শুরুও ছিল না’ নামের অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি প্রকাশ করেছে, সরলরেখা প্রকাশনা সংস্থা (বইমেলা, স্টল নং ৬১৮)। এ বিষয়ে সরলরেখা প্রকাশনির পরিচালক নাজমুস সায়াদাত জানান, আল মাহমুদ নিজেই একজন মহাকাব্যিক কবি। তবে গেলপ্রায় এক শতাব্দী পর নতুন করে মহাকাব্য রচিত হয়েছে, যা বাংলা সাহিত্যে গৌরবজনক ঘটনা। শিল্পী ধ্রুব এষ ও লেখক আজরা পারভীন সাঈদসহ বড় একটা টিম আল মাহমুদের মহাকাব্য ‘এ গল্পের শেষ নেই শুরুও ছিল না’ প্রকাশের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। আমরা পাঠকদের হাতে এ প্রকাশনা তুলে দিতে পেরে আনন্দিত।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আল মাহমুদের ‘সহোদরা’ ও ‘রাগিণী’ নামে ক্ষুদ্রায়তনের দুটি নতুন উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে, মুজিববর্ষের বিশেষ প্রকাশনা হিসেবে তাঁর নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘ইতিহাস দেখো বাঁক ঘুরে গেছে ফের ইতিহাসে’ এবং ছড়ার বই ‘আমার নামে ডাকছে পাখি’ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। আল মাহমুদের সাহিত্য জীবনের গোধূলি লগ্নের ছায়াসঙ্গী ও সহলেখক হিসেবে এ পাঁচটি বইয়ের গ্রন্থনা ও সম্পাদনা করেছেন লেখক ও সাংবাদিক আবিদ আজম।

প্রয়াণ দিবসে নানা অনুষ্ঠান

কবি আল মাহমুদের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও তাঁর জন্মভিটায় পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আল মাহমুদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কবি আবিদ আজম জানিয়েছেন, কবির জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর কাটাবনের কবিতা ক্যাফেতে (২৩৪/সি নিউ এলিফ্যান্ট রোড, কাটাবন সিগন্যাল, ঢাকা) শনিবার বিকেল ৫টায় ‘আল মাহমুদ স্মরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে কবির পাঠক, ভক্ত ও অনুরাগীরা উপস্থিত থাকবেন। একই দিন চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণানুষ্ঠান। সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর নূরুল আমিন।

অন্যদিকে, কবির জন্মভিটা ব্রাক্ষণবাড়িয়া মৌড়াইলে সকালের দিকে স্মরণানুষ্ঠান ছাড়াও কবির কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। এছাড়া, আল মাহমুদ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা ছাড়াও কবির প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহৎ পরিসরে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আবিদ আজম। ঢাকা/সাইফ/নাসিম