অন্য দুনিয়া

প্যাকেটজাত করে কেরুর চিনি বাজারে যাচ্ছে

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : ‘চুয়াডাঙ্গার কেরুর চিনি ভেজালমুক্ত, স্বাস্থ্যসম্মত এবং শিশু খাদ্যের উপযোগী’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে লোকসান এড়াতে চিনি প্যাকেজিংসহ উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থাপনার দিকে হাঁটছে কর্তৃপক্ষ।

 

দর্শনার কেরুসহ দেশের ১৫টি চিনি কলের গত চার মৌসুমের মজুদকৃত দেড়লাখ মেট্রিকটন চিনি বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এখন থেকে এক কেজিসহ বিভিন্ন সাইজের প্যাকেটে কেরুর চিনি কিরতে পারবেন ক্রেতারা।

 

কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনি কলের গোডাউনে গত চার মৌসুমের উৎপাদিত ১৮ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রেতার অভাবে বিক্রি হচ্ছে না। নির্ধারিত ডিলাররাও চিনি তুলছেন না।

 

এজন্য সকলের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে উৎপাদিত চিনি এক কেজিসহ বিভিন্ন সাইজের প্যাকেটজাত করে ভোক্তাদের দোরগোড়ায়  পৌঁছানোর কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। 

 

তবে চিনি প্যাকেটজাত শুরু হওয়ার পর কর্পোরেশনের স্থানীয় ডিলাররা অন্য কথা বলছেন। তাদের বক্তব্য, ‘কেরুর চিনির গুণগতমানের পাশাপাশি শুকনা-পরিষ্কারসহ বাজারে অন্য চিনির মূল্যের সঙ্গে মিল থাকতে হবে এবং ডিলারের চাহিদামতো চিনি সরবরাহ বাড়াতে হবে।’

 

চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন রাষ্ট্রায়াত্ব চিনি কলগুলি চিনি উৎপাদন করে বলেই দেশে চিনির বাজারে স্থিতিশিলতা রয়েছে।

 

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির  ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম আরশাদ আলী জানান কেরুর চিনি প্যাকেটজাত করার ফলে গত তিন দিনে ৩৫ মেট্রিক টন চিনি বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি আরো জানান প্যাকেটজাত পদ্ধতি আরো আগে শুরু করলে কেরুর গোডাউনে চিনি পড়ে থাকতো না।

       

রাইজিংবিডি/চুয়াডাঙ্গা/৩ জুন ২০১৫/এম এ মামুন/সনি