মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামের আজিজিয়া মুখসুদুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল হামিদ (২৬) – এর লাম্পট্যের শিকার হয়েছে ওই মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রী।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ৮ বছরের ওই শিশু ছাত্রীকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় শিক্ষক হামিদ। হামিদ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কেওয়ার গ্রামের মৃত আহমেদ মোল্লার ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেলা ১২ টার দিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসী লম্পট শিক্ষক আব্দুল হামিদকে প্রথমে গণধোলাই দেয়। পরে মসজিদের ভিতর তাকে তালা মেরে রেখে থানায় খবর দেয়। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে সিরাজদিখান থানার এস আই আ. সালাম ও এস আই মো. আমিনুলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সে সময় উত্তেজিত এলাকাবাসী পুনরায় ওই লম্পট শিক্ষককে উত্তমমধ্যম দেয়।
এদিকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎকরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
শিশুটির মা সাংবাদিকদের জানান, সকালে কাজ থেকে ফিরে এসে দেখেন তার মেয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছে। কি হয়েছে জানতে চাইলে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে মাকে সব জানায়। সে সময় তিনি এলাকাবাসীকে ঘটনাটি জানালে তারা ওই লম্পট শিক্ষকের কাছে গিয়ে ঘটনা জানতে চায়। উত্তেজিত জনতা ঘটনা শুনে ওই শিক্ষককে জুতাপেটা করে।
সিরাজদিখান থানার এস আই আ. সালাম জানান, লম্পট মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রাইজিংবিডি/মুন্সীগঞ্জ/৩০ জুন ২০১৫/শেখ মো. রতন/সনি