অন্য দুনিয়া

যুবদল নেতা হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহসভাপতি কাজল মাহমুদ হত্যা মামলায় জাহাঙ্গীর নামের একজনের  যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন জেলা জজ আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার  বাকি ১০ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ রবিউল হাসান এ রায় প্রদান করেন। জাহাঙ্গীর গাংনী উপজেলার ভরাট গ্রামের কাবিতউল্লাহর ছেলে।মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বামুন্দী বাজারের একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন যুবদল নেতা কাজল মাহমুদ। এ সময় ১০/১২ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে গুরুতর আহত হন কাজল মাহমুদ। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বামুন্দীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। পরদিন কাজল মাহমুদের বাবা মনিমুল হক অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ২৫ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরকে আটক করে পুলিশ। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে সে। মামলা তদন্ত শেষে ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহারে অভিযোগ এনে চার্জশিট প্রদান করে পুলিশ।দীর্ঘ ১০ বছরে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ মামলার রায় প্রদান করা হয়। রায়ে জাহাঙ্গীরকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে তিন বছরের কারাদ- ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদ- এবং হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদ- ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন জেলা জজ কোর্টের পিপি পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শফিকুল আলম ও রমজান আলী।

     

রাইজিংবিডি/মেহেরপুর/২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫/মহাসিন আলী/রিশিত