অন্য দুনিয়া

ধরলার পানি বিপদসীমায় প্রবাহিত : পানিবন্দি হাজারও মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সামান্য কমেছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। ধরলার অববাহিকায় ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম সদর এবং তিস্তার অববাহিকার রাজারহাট উপজেলার চর ও নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এসব এলাকার কাঁচা রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় কলাগাছের ভেলা ও নৌকাই একমাত্র যোগাযোগের ভরসা। কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় বিপাকে পড়েছে দিনমজুর শ্রেণির মানুষজন।কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর ভেলাকোপার শমসের আলী জানান, গত কয়েকদিন থেকে পানি বাড়তেই আছে। ভিটা উঁচু করার পরও বাড়ির পানি ঢুকে পড়ছে। কোথাও বের হতে পারছি না। কাজও চলছে না। ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিপদে আছি।জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন্যাকবলিত পরিবারের মধ্যে ৮ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ঈদের আগে বিতরণ করা হবে। বন্যাকবলিত এলাকায় শুকনো খাবারের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দও পেয়েছি। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার, নুন খাওয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে।

 

রাইজিংবিডি/কুড়িগ্রাম/২৭ জুন ২০১৬/বাদশাহ্ সৈকত/রিশিত