অন্য দুনিয়া

যে পানে আগুন জ্বলে (ভিডিও)

ছাইফুল ইসলাম মাছুম : পানে আগুন জ্বলছে, সেই জ্বলন্ত পান মুখে নিয়ে গ্রাহক আয়েশ করে চিবিয়ে খাচ্ছেন। এমন দৃশ্য প্রথম দেখলে আপনিও চমকে উঠবেন। বিষয়টি তখন ম্যাজিক মনে হতে পারে, কিন্তু পুরো ঘটনাই সত্য। আগুন পান খাওয়ার এমন ভয়ংকর দৃশ্য হররোজ চোখে পড়ছে সবার। তবে ভয়ের বদলে সকলের মুখেই তৃপ্তির হাসি। জ্বলন্ত পান খাওয়ার দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন কৌতূহলী মানুষ ভিড় করছেন পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার মোড়ের ‘আল্লাহর দান জলিলের মিষ্টি পান’ দোকানে। অনেকে সেখান থেকে পান কিনছেন, কেউ একটু দূরে দাঁড়িয়ে উৎসুক নয়নে দেখছেন তামাশা! পান পছন্দ করেন এমন মানুষের সংখ্যা এ দেশে কম নয়। যে কারণে পানের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে সৌখিন পান খান যারা তাদের আকৃষ্ট করতে দোকানীদেরও রয়েছে অনেক রকম কৌশল। সেই কৌশলের ফাঁদে একেকজন একেক রকম পান পছন্দ করেন। কারও পছন্দ মিষ্টি পান, কারও শাহী পান, কারও আবার দিলখোশ পান, বউ-জামাই পান, আবার কারও পছন্দ কুস্তরি পান। এবার সেইসব সৌখিন পানখোরদের পছন্দের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ‘আগুন পান’। সাত বছর পান বিক্রি করছেন আবদুল জলিল (৩৫)। হরেক রকম মিষ্টি পান বিক্রি করেন তিনি। তার দোকানে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা দামের পান রয়েছে। দুই মাস আগে জলিলের পানের দোকানে যুক্ত হয় পানের নতুন এই আইটেম। দাম ৪০ টাকা। জলিলের আগুন পানের কথা ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় লাগে না। তারপর থেকেই দোকানে পানপ্রেমীদের ভিড় বাড়তে থাকে। হুহু করে বেড়ে যায় পানের বিক্রিও। ক্রেতার চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয় দোকান। দুই শিফটে ভাগ করে চারজন কর্মচারী কাজ করেন সেখানে। দুই বছর ধরে জলিলের পানের দোকানে কাজ করেন কুমিল্লার হাসেম(১৮)। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, পান দোকানে আগে দৈনিক বিক্রি হতো ৪-৫ হাজার টাকা। আগুন পান বিক্রির কারণে ইদানিং দোকানের প্রচার বেড়েছে, বিক্রিও বেড়েছে। এখন দৈনিক বিক্রি হয় ৮-১০ হাজার টাকা। আগুন পান সম্পর্কে পান দোকান মালিক আবদুল জলিল রাইজিংবিডিকে জানান, তিনি আগুন পানের খবর পেয়ে ভারতের গুজরাট থেকে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পানের নমুনা সংগ্রহ করেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে আগুন পান বিক্রি শুরু করেন। পানে তিনি ব্যবহার করেন, নানান ধরনের মসলা, কেমিক্যাল ও রকমারি স্বাদের ফ্লেবার।

ভিডিও :

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মার্চ ২০১৭/তারা