অন্য দুনিয়া

পুলিশ প্রহরায় চট্টগ্রাম থেকে দুধ যাচ্ছে ঢাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম, ১০ ডিসেম্বর: টানা অবরোধে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ প্রহরায় তরলদুধ ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।

মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চালকদের গাড়ি চালাতে অস্বীকৃতির প্রেক্ষিতে ‘জরুরি শিশু খাদ্য’ তরল দুধ পরিবহনে সাদা পতাকা ও পুলিশ প্রহরায় পরিবহনের এই নতুন কৌশল নিয়েছে মিল্কভিটা। সোমবার থেকে তরল দুধ পরিবহনের এই নতুক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি তরলদুধবাহী ট্যাংকার চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে।মিল্ক ভিটা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, সারাদেশের লাখো ডেইরি খামারির ভাগ্যোন্নয়নের কাজে নিয়োজিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে মিল্কভিটা। এই প্রতিষ্ঠানের দুধ বহনকারী এসব ট্যাংকার ও কাভার্ডভ্যানগুলো চলাকালীন যে কোনো ধরনের হামলা, পিকেটিং, অগ্নিসংযোগ না করতে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

মুনীর চৌধুরী জানান, বিদেশ থেকে আমদানি করা দুধ পরিবহনকারী মিল্কভিটার মূল্যবান ট্যাংকার ও কাভার্ডভ্যানগুলো এদেশের লাখো খামারির সম্পদ। সাদা পতাকা ‘শান্তির প্রতীক’। তাই এ পতাকাযুক্ত মিল্কভিটার যানবাহন যাতে হামলার শিকার না হয়, তা সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে।

সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান এড়াতে এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের হাজার হাজার দুগ্ধ খামারীর জীবন জীবিকা রক্ষায় ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় তরল গরুর দুধ পরিবহন করা হচ্ছে। এই দুধ পরিবহন করা সম্ভব না হলে হাজার হাজার লিটার দুধ নদীতে ফেলে দেয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকবে না।

মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও জনসংযোগ) মো. মুস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, চলমান অবরোধের মধ্যে ১-৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ দিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাত্র ৪ লাখ ২৪ হাজার লিটার তরল দুধ সরবরাহ করা হয়েছে।

গত বছরের একই সময়ে সরবরাহ করা হয়েছিল ১০ লাখ ৬১ হাজার লিটার, প্রতিদিন দুধ বিক্রি হতো দেড় লাখ লিটারের বেশি। বর্তমানে দৈনিক ৬০ হাজার লিটারে নেমে এসেছে হরতাল-অবরোধের কারণে।

রাইজিংবিডি /  রেজাউল / রণজিৎ