অন্য দুনিয়া

কুকুর নিয়ে আতঙ্কে...

তানজিমুল হক, রাজশাহী : রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব  মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে পথচারীরা আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করছেন। দিনে ও রাতে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় দল বেঁধে বেওয়ারিশ কুকুর চলাচল করায় স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ পথচারীরা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। মহানগরীর লক্ষ্মীপুর, ভাটাপাড়া, ডিঙ্গাডোবা, কোর্টস্টেশন, উপশহর, শালবাগান ও  তালাইমারীসহ বিভিন্ন এলকার মোড় এবং রাস্তায় দলবদ্ধভাবে বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে। প্রতিটি দলে রয়েছে ১৫ থেকে ২০টি কুকুর। এ অবস্থায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী বিশেষ করে শিশু-কিশোর ও পথচারী নারীদের স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।

এমনকি কুকুরের দল সাইকেল, মোটরসাইকেল ও রিকশা আরোহীদের পেছন থেকে ধাওয়া করছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।

লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, মহানগরীর এ এলাকায় অধিকাংশ ক্লিনিক রয়েছে। রাতের বেলা দল বেঁধে কুকুরের ‘ঘেউ ঘেউ’ চিৎকারে শিশুসহ রোগীদের ঘুম ভেঙে যায়। পথচারীদের কুকুরের দল প্রায়ই ধাওয়া করে।

এদিকে বিভিন্ন এলাকার মানুষ কুকুরের কামড়ের শিকার হচ্ছেন। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে নিম্ন আয়ের সাধারণ রোগীরা প্রয়োজনের সময় ভ্যাকসিন সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

ডিঙ্গাডোবা এলাকার বাসিন্দা সাব্বির হোসেন বলেন, রাতের বেলা যখন বাড়িতে যায় তখন একদল কুকুর রাস্তা ঘিরে বসে থাকে। সপ্তাহ খানেক আগে আমাকে কুকুরে কামড় দিয়েছে। এখন চিকিৎসা নিচ্ছি। ফলে আতঙ্কের মধ্যে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে।  

ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাইমা জামান জামান, এ এলাকার রাস্তাগুলোতে অনেক কুকুর একসঙ্গে দলবদ্ধভাবে ঘোরাঘুরি করে। কুকুরগুলো অপরিচিত মানুষ দেখলে আক্রমণাত্মভাবে তেড়ে আসে। অনেক সময় ছোট বাচ্চাদের কামড়িয়ে দেয়।    

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মামুন বলেন, মহানগরীতে প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে। কুকুর নিধন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে উপদ্রব। এর ফলে রাতে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে পথচারীদের। এ বিপদ এড়াতে প্রতিবছর সিটি করপোরেশন কুকুর নিধন অভিযান পরিচালনা করে থাকে। তবে মন্ত্রণালয়ের নিষেধ থাকার কারণে তা এখন বন্ধ আছে। তবে অচিরেই এ সমস্যা নিরসনের জন্য আমরা উচ্চপর্যায় থেকে নির্দেশনা পাবো বলে আশা করছি।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮জুন ২০১৪/তানজিমুল/রণজিৎ